ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার আম চাষিররা। আম চাষিদের দাবী কৃষি বিভাগের আম পাড়ার ক্যালেন্ডার মানতে গিয়ে চাষিরা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাবে এ জেলার সকল পর্যায়ের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে এ জেলার আম শিল্পকে ধরে রাখা সম্ভব। সাতক্ষীরার আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’র প্রভাবে সাতক্ষীরার সকল আম চাষিরা এবছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আম ক্যালেন্ডার মোতাবেক হিমসাগর আম পাড়ার তারিখ ছিল ২২ মে, কিন্তু আবহাওয়া জনিত কারণে আরো আগে এই তারিখটি দেওয়া উচিত ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও চাষিরা।
আম চাষিরা আরো জানান, সাতক্ষীরার আবহাওয়া জনিত কারণে আম ক্যালেন্ডারের নির্ধারিত তারিখের আগেই আম পরিপক্ত হয়ে গেলেও আমরা বার বার কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেনকে বলি। কিন্তু তিনি আমাদের কোন কথা না শুনে এড়িয়ে যান। জেলার আমের সুখ্যাতি ধরে রাখতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে সরকারিভাবে প্রণোদনা এবং সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের দাবী
জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন জানান, আম ক্যালেলন্ডারের কারণে আমের কোন ক্ষতি হয়নি। ব্যবসায়ী, কৃষক ও বাজার কমিটির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকসহ সকলের মতামতের ভিত্তিতে আম ক্যালেন্ডার করা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’র প্রভাবে অনেক আম পড়ে গেছে, এক্ষেত্রে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আম চাষিদের প্রণোদনা ও সহহজ শর্তে ঋণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরাও চেষ্টা করছি, যাতে এ জেলার আমের সুখ্যাতি
ধরে ররাখতে পারি।
নবান্ন টিভি /আব্দুর রশিদ