আজ ২০ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা শুরু। আগামী ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গোপূজার দিন গণনা শুরু হয়েছে শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে। এদিন দেবী দূর্গার আবির্ভাব ঘটে।
মহালয়া সম্পনের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে পা রেখেছেন দেবী দুর্গা। শারদীয় উৎসব উপলক্ষে জেলা শহর
এবং ৯ উপজেলার সব কয়টি মন্ডপে চলছে দেবী প্রতিমায় রঙ তুলির শেষ আঁচর।
এই উৎসবটি সনাতনীদের পাশাপাশি পার্বত্যাঞ্চলে সব সম্প্রদায়ও শামিল হন সমান ভাবে এই পুজোতে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নিয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।
ষষ্ঠী পূজার বাকি মাত্র আর কয়েক ঘন্টা খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় লক্ষী নারায়ণ মন্দিরে ব্যস্ততা বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের মাঝে।
খাগড়াছড়ির পুজা মন্ডপগুলোতে মা দূর্গাসহ প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে ।
এই মধ্যেই প্রতিমার গায়ে রং তুলির ছোঁয়া লাগিয়েছেন শিল্পীরা দূর্গা দেবীর সৌকর্যময় ফুটিয়ে তুলেছেন ইতিমধ্যেই ।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় সবচেয়ে বড় পুজাতে মহানন্দে শামিল হন এখান পাহাড়ী-বাঙ্গালী হিন্দু-মুসলিম-চাকমা-মারমা সবাই।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার মহাসপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে।
মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে রোববার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে রাত ৮টা ৬ মিনিটে।
সোমবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হবে নবমী পূজা। পরদিন মঙ্গলবার দশমী পূজা শুরু সকাল ৬টা ৩০মিনিট।
পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে।
সন্ধ্যায় আরাত্রিকের পর প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার,
বিজিবি সহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।