তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে টানা তৃতীয় দিনের মতো অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার অবরোধ কর্মসূচি পালন করলেও শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) শুধু অনশন পালন করার কথা জানান আন্দোলনকারীরা।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা তাদের।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যৌক্তিক দাবি নিয়ে দ্বিচারিতা করছে সরকার, মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করলেও দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম নেই।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে গত বুধবার বিকেল ৫টা থেকে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
ওইদিন ত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে যান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে সরকারের একটি প্রতিনিধিদল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধাপক ড. শিপ্রা রানী মণ্ডলসহ কলেজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা কথা বলেন। তারপরও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি স্থগিতে রাজি হননি। তারা তিতুমীর কলেজকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ করার তাৎক্ষণিক ঘোষণা দেয়ার দাবি করেন। এ ঘোষণা না দিলে তারা রাজপথ ছেড়ে যাবেন না। গণ-অনশন, রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষণা করা সম্ভব নয় বলে যুগ্ম সচিব শিক্ষার্থীদের জানালে তারা বলেন, তাহলে যিনি ঘোষণা করতে পারবেন, তাকে ডেকে আনতে হবে।
দীর্ঘসময় বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান বলেন, ‘তোমাদের দাবি যে অযৌক্তিক, সেটা তো কেউ বলছে না। কিন্তু এটি একটি প্রক্রিয়াধীন বিষয়। তোমরা ২৮ বছর ধরে আন্দোলন করছো। এটা তোমরা আদায় করেই ঘরে ফিরবা, সেটাও আমরা জানি। কিন্তু এখনই বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা দেয়াটা তো সম্ভব নয়। পরবর্তী সময়ে যত জায়গায় এটা নিয়ে কাজ হবে, আমি সেখানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তোমরা আজ রাতে ফিরে যাও।’