প্রায় দুই মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, এখনো শারীরিক জটিলতা কমেনি তার বরং বেড়েছে।
অন্যদিকে শারীরিক অবস্থা একটু খারাপ হলে তাকে নেওয়া হচ্ছে এভার কেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)।
আবার ভালো বোধ করে নেওয়া হচ্ছে কেবিনে। সবশেষ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা পর আবার রাতে নেওয়া হয়েছে কেবিনে।
কিছুটা সুস্থ হলে রাতে আবারও কেবিনে নেওয়া হয়।
গত ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি প্রধান। হাসপাতালে ভর্তির এ পর্যন্ত তিনবার তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
এর আগেও বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল খালেদা জিয়াকে।
গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন,
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন।
তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি ও তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত।
এই রোগের চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অবশ্য পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বারবার চেষ্টা করা হলেও এখনো সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া আসেনি।
দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি করছেন বিএনপি নেতারা। সেজন্য দলটির পক্ষে থেকে পালন করা হচ্ছে নানা কর্মসূচি।
খালেদা জিয়া বিনা চিকিৎসায় মারা গেলে সরকারকে দায় নিতে হবে এমন হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা।