বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশ বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে তরুণ সমাজ আজ জেগে উঠেছে।
শেখ হাসিনা সরকারকে আর কোন অশুভ শক্তিই রক্ষা করতে পারবে না। তারুণ্যের যে রোডমার্চ শুরু হয়েছে তা সরকার পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
আজ দুপুরে সিলেট অভিমুখে তারুণ্যের রোড মার্চে যাত্রাপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ সকালে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থেকে এ রোডমার্চ শুরু হয়।
রোডমার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার হয়ে সিলেট গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এই রোডমার্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,
বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে যে অগণতান্ত্রিক শক্তি দাঁড়িয়েছে তারা জনগণের সামনে টিকে থাকতে পারবে না।
দেশের মালিকানা নিয়ে দেশের মানুষ বাড়ি ফিরবে। অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত কেউ বাড়ি ফিরবে না।
রোডমার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমানায় পৌঁছালে দলের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খোকন,
জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম ও যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা এস.এন তরুণ দের নেতৃত্বে রোডমার্চকে স্বাগত জানিয়ে শোডাউন করা হয়।
পরে রোড মার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিক্রম করে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। জানা যায়, রোড মার্চটি হবিগঞ্জ থেকে মৌলভীবাজার হয়ে সিলেটে গিয়ে শেষ হবে।
এদিকে রোডমার্চকে কেন্দ্র ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে যান চলাচল ছিল ধীর গতি।