খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া শুধু এ উপমহাদেশের নয়, এশিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন নেত্রী।
খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছিল ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে। এখনো তিনি বন্দি অবস্থায় আছেন।
অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তার কিছু হলে সরকারকে সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব নিতে হবে।
তার আমলে মেয়েদের বিনামূল্যে শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয়। এভাবে তার অবদান বলে শেষ করা যাবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে এসেই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন।
তিনি সারাদেশে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা তথা চারণ কবির মতো দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের পক্ষে জাগ্রত করে চলছেন।
তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। যেই দুই কোটি টাকার অভিযোগে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে সেটা এখন ৮ কোটি টাকা হয়েছে।
একই ধরনের মামলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে হয়েছিল। কিন্তু তাদের শুধু মুক্তি দেওয়া হয়নি, মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এরা অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার। তারা ১৫ বছর ধরে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে। এরা এখন গণতন্ত্রের জন্য নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
দেখেন, আমাদের ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক জিসানসহ ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ছয় ঘণ্টার মধ্যে তাদের মুক্তি না হলে দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।