বাংলাদেশে আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৫ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ‘ভয়াবহ ভূমিকম্প’ হবে বলে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবা দুপুরের দিকে ‘আর্থকোয়াক নিউজ এভরিডে’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে এই তথ্য ছাড়ানো হয়। এরপরই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দেশবাসী।
যদিও এমন তথ্যকে উড়িয়ে দিচ্ছেন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, ভূমিকম্প হওয়ার আগে ঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের মতো পূর্বাভাস দেয়া যায় না।
তাই এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সময় সংবাদকে বলেন,
বাংলাদেশে আমরা দুর্যোগ, ভূমিকম্প নিয়ে কাজ করি। এমন কোন তথ্য আমরা জানলাম না, অন্যরা কীভাবে জানল। এটি সম্পূর্ণ গুজব।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়ার মতো প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়নি।
ঝড়-বৃষ্টি বা জলোচ্ছ্বাসের যেমন আগে থেকে পূর্বাভাস দেয়া যায়, সেটা দিন, তারিখ, সময় ধরে ভূমিকম্পে দেয়া যায় না।
যেমনটা ফেসবুকে দেয়া হয়েছে। তবে একটি ভূমিকম্প হওয়ার পর পরবর্তী কয়েক বছরের সময়সীমার মধ্যে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা হিসেব করা যায়।
তাই এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন এই দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, একটি ভূমিকম্পের পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় জরুরি-
এটি কোথায় ঘটবে, কখন ঘটবে এবং কত বড় আকারের হবে। সংস্থাটি বলছে, এখন পর্যন্ত কেউই নিশ্চিতভাবে এটি আগে বলতে পারে না।
ইতালির রোমের সেপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-বিজ্ঞানের এবং যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস ম্যারোন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন,
যখন আমরা পরীক্ষাগারে ভূমিকম্পের পরীক্ষা চালাই তখন আমরা এই সব ব্যর্থতা দেখি- যেখানে প্রথমে কিছু ফাটল এবং কিছু ত্রুটি দেখা যায়।
কিন্তু প্রকৃতিতে অনেক অনিশ্চয়তা থাকায় আমরা প্রায়ই বড় ভূমিকম্প হতে যাচ্ছে এমন কোনো ইঙ্গিত পাই না।