ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালীর গোমাতলীতে কাঁকড়া শিকার করে বিক্রির মাধ্যমে অনেকেই ভাগ্য বদলের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এখানে ছোট-বড় খাল, চর ও প্যারাবনে প্রাকৃতিকভাবে কাঁকড়া উৎপাদন হয়।
সুস্বাদু কাঁকড়া বিক্রি করে অনেক পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। পোকখালীর উপকূলীয় এলাকায় বিভিন্ন স্থানে চর/প্যারাবনসহ ছোট-বড় খালে প্রাকৃতিকভাবে এসব জায়গায় বেড়ে উঠেছে কাঁকড়া। তবে কাঁকড়া লাভজনক ব্যবসা।
এসব এলাকায় অনেকে কষ্টের বিনিময়ে নানা কৌশলে কাঁকড়া শিকার পূর্বক বিক্রি করে সংসারের ভরন পোষন চালিয়ে আসছেন। আবার অনেক জেলের আয়ের উৎস কাঁকড়ার সাথে জড়িত। কাঁকড়ার সাথে জড়িত এক ব্যাক্তির সাথে কথা হলে তিনি জানায়, সল্প পরিশ্রমে অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকের আগ্রহ বাড়ছে কাঁকড়ার প্রতি।
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত কাঁকড়া শিকার করে অনেকের ভাগ্য বদল আর সফলতার মুখও দেখছেন। খালে কিংবা চরে কখনো কখনো বড়, আবার কখনো ছোট সাইজ কাঁকড়াও ধরা পড়ে।
ঈদগাঁও স্টেশনের ঈদগড় সড়কের মাথায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোমাতলীর এক ব্যাক্তি কাঁকড়া বিক্রি করতে আসে। সেখানে ছোট-বড় কাঁকড়া দেখা যায়। পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে থাকেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ ব্যবসার সাথে নিজেকে সম্পৃত্ত রেখেছেন।
তিনি জানান, গোমাতলীসহ উপকূলে বর্তমান সময়ে চর-খাল ও প্যারাবন এলাকা থেকে এসব কাঁকড়া শিকার করা হয়। প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি করে থাকেন। যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ভাল দাম পাওয়া যায়। এছাড়াও কাঁকড়ার বেশ কদর রয়েছে গ্রামীন জনপদের মানুষের মাঝে।
মাছের পাশাপাশি কাঁকড়া তাদের ভাগ্য বদলে করে। তবে সফলতাও পেয়েছেন। কাঁকড়া শিকার করে তিনি পরিবারের অভাব দূর ও নিজে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছেন। বৃহৎ এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে এসব কাঁকড়া নিয়ে যাচ্ছে।
নবান্ন টিভি/ এম আবু হেনা সাগর