লোন দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছে থেকে জামানত বাবদ প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্নসৎতের অভিযোগ উঠেছে অরবিন্দ্র হালদার নামক এক ব্যক্তির উপর। অরবিন্দ্র হালদার নিউ স্ট্যান্ডার্ড ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স এম সি এস লিঃ একজন কর্মকর্তা। তার এই প্রতিষ্ঠান থেকে লোন দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি কোন লোন। নগরীর ২নং বাবুরাইলের বাসিন্দা এই অরবিন্দ্র হালদার। পরিবার নিয়েই বাবুরাইল এলাকার দির্ঘদিন ধরে বসবাস করেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, তার নিজ এলাকা সহ আশে-পাশের অনেক এলাকার মানুষকে তার প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রথমে তাদের একাউন্ট করানো হয়। পর্বতিতে তাদের একাউন্ট খোলার জন্য একটা চার্জ নিয়ে থাকে তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে। এর পর লোন সেকশনের জন্য জামানত বাবদ আগেই কিছু টাকা নেওয়া হয় গ্রাহকদের কাছ থেকে। পরে নির্দিষ্ট একটা সময় দিয়ে গ্রাহকদের তাদের অফিসে এসে যোগাযোগ করতে বলা হয়। নগরীর নিতাইগঞ্জ ও উকিল পাড়ায় তাদের দুইটি অফিস রয়েছে। এর পর গ্রাহকরা নির্দিষ্ট সময় তাদের অফিসে গেলে সেখান থেকে নানা ভাবে হয়রানি করা হয়।
সুত্রনুসারে, গ্রাহকরা তাদের জামানতের টাকা অরবিন্দ্রর কাছে ফেরত চাইলে সে নানা তালবাহান শুরু করেন এক পর্যায়ে গ্রাহকদের ফোন ধরা বন্ধ করে দেন। গত ১২ আগষ্ট রাতে অরবিন্দ্র গ্রাহকদের ফাঁকি দিয়ে তার পরিবার নিয়ে বাবুরাইলের বাসা থেকে আসবাবপত্র নিয়ে সটকে পড়ার সময় কয়েকজন গ্রাহক খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটক করে। পরে অরবিন্দ্র সেখান থেকে কোশলে সটকে পড়েন। পরে তার স্ত্রীকে আটক করে রাখে এলাকাবাসী।
গতকাল রবিবার বাবুরাইলের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানাযায়, অরবিন্দ্র হালদারের পূর্বের ধর্ম ছিলো হিন্দু ধর্ম। সে সময় সে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহন করেন। তারা আরও বলেন বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের একজন সদস্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন,অরবিন্দ্র হালদারের নামে এর আগেও এমন ঘটনা আমরা শুনেছি । এর আগে নাকি তাদের চার্চ গিয়ে এই ধরনের সমস্যা সমাধান করেছিনে তারে পাওনাদাররা।
এলাকাবসীর সূত্রধরে ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের পাস্টার(পুরোহিত) বিন্দামিন ঢালীর কাছে অরবিন্দ্র হালদারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অরবিন্দ্র হালদার আমাদের চার্চের সদস্য বটে। তবে, তার ব্যক্তি জীবনের কোন কার্যক্রম আমাদের চার্চের সাথে সম্পৃক্ত নয়। তিনি আরও বলেন লোন দেওয়ার কথা বলে টাকা না দেওয়া ও তার বাসা পরিবর্তনের সময় গ্রাহকের সাথে একটা হাতাহাতির ঘটনা শুনেছি তবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আমরা বলতে পারবোনা। কিন্তু তার লোন দেওয়া টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমাদের চার্চের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।
এই বিষয়ে কথা বলতে অরবিন্দ্র হালদারকে মুঠোফোন করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো এই বলে ফোন কেটে দেয়।
Related