ঝড়ের দিনে মামার দেশে – আম কুড়াতে সুখ, পাকা আমের মধুর রসে – রঙিন করি মুখ, পল্লীকবি জসীম উদ্দিন তার মামার বাড়ি কবিতায় ঠিক এভাবেই ব্যক্ত করেছেন কবি। আমের দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে নওগাঁ জেলা। জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে হরেক রকমের সুস্বাদু আমের বাগান। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে আম গাছের মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামগুলোর মধ্যে বাড়ির আঙ্গিনায়, পুকুর পাড়ে, রাস্তার ধারে ও বাগানে গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। মুকুলে মুকুলে ছেঁয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে মুকুলের সুবাসিত ঘ্রাণ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে নিয়ামতপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আমচাষ হচ্ছে। গত বছর প্রতি হেক্টরে ১২ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিলো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। উপজেলার সদর ইউনিয়নের আম বাগান মালিক মমিন বলেন, বাগানে আম্রপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি আমের গাছ আছে। এবার বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। মুকুল আসার পর থেকেই আমরা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছি। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তিনি।
নিয়ামতপুর কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, এবার আম বাগানে ছোট বড় সব ধরনের গাছেই মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে এবার উৎপাদন বৃদ্ধি হতে পারে। আমগাছে বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
নবান্ন টিভি/ মোঃ ইমরান ইসলাম