খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনার কারণ উদঘাটনে গঠিত তদন্ত কমিটি আজ রবিবার থেকে তদন্তের কাজ শুরু করবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় জানান, রবিবার বিকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করবে।
উল্লেখ, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. মামুনকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জেরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। দীঘিনালায় অর্ধশতাধিক দোকানপাটে আগুন, স্বনির্ভরে সেনাবাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
সহিংসতার কারণ উদঘাটনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরল্লাহ নূরীকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন ও তদন্তপূর্বক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের স্বাক্ষর করা অফিস আদেশে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটিকে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সংঘটিত সহিংস ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতকরণ ও ভবিষ্যতে একই জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যথাযথ সুপারিশ প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সহিংসতার ঘটনার পরদিন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন প্রভাবশালী উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় সফর করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্টজন ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। পরে সাংবাদিকদের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
নবান্ন টিভি/ বিপ্লব তালুকদার