শাপলা বাংলার জলাশয়ের শোভা। নয়নাভিরাম অপরুপ সৌন্দর্য্যে মন ব্যাকুল হয়ে উঠে। গ্রাম বাংলার অকৃত্রিম রুপময় ছায়া সবই যেন ধারণ করে আসছে এই শাপলায়। এই কারণে জাতীয় ফুলের মর্যাদা দিয়ে আরো আপন করে নেয়া হয় লাল ফুলটিকে।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাশয়ে শাপলার ছড়াছড়ি। ঈদগাঁওর মাছুয়া খালী মোরাপাড়া,বংকিম বাজারস্থ সড়কে পাশে জলাশয়সহ গ্রামীন জনপদের নানান এলাকার চোখে পড়ে ফুলের সমারোহ। জলাশয়ে শাপলা ফুলে ভরপুর। দেখতে চমৎকার বটে।
গ্রামীণ প্রকৃতির এই ফুলের বাহারী রঙে ছেয়ে গেছে খাল-বিলে। শাপলা পদ্মগোত্রের ফুল। জলে নিমজ্জিত নরম দন্ডের উপরিভাগে এ ফুল ফুটে থাকে। ১৩-১৫টির মতো পাঁপড়ি হয়। পাঁপড়ির মাঝখানে হলুদ রঙের পরাগদানী থাকে। লাল এবং নীল রঙের ফুলও হয় বটে। মূল রঙ সাদা। শাপলার পাতাও খুব সুন্দর। বড় গোলাকার পাতা পানির উপর চমৎকার ভাবে ভেসে থাকে। গ্রামের মানুষসহ পথচারীরা শাপলার অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করেন।
কেউ কেউ হাত বাড়িয়ে তুলে নেয় দুই একটি ফুল। দুরন্ত কিশোর কিশোরীরা পানিতে নেমে হাত ভর্তি করে শাপলা নিয়ে বাড়ি ফেরে। গ্রামের দরিদ্র মানুষেরা এক সময় বিল ঝিলে ডুব দিয়ে শালুক তুলে আনতো। শাপলার শেকরের সঙ্গে যুক্ত থাকা শালুক সিদ্ধ করে খাওযার চল ছিল একসময়। এখন সেসব চিত্র তেমন আর চোখে পড়েনা।
স্থানীয়রা জানায়, বর্তমানে নদী নালা,খালবিল ও আবদ্ধ জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে জাতীয় ফুল শাপলা ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত হওয়ার পথে। পাড়া মহল্লার ছোট ছোট জলাশয় বা নালায় কিছু কিছু শাপলা ফুলের দেখা মেলে।
নবান্ন টিভি/ এম আবু হেনা সাগর