উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণে কক্সবাজারের ঈদগাঁও তে হিমাগার না থাকায় বিপাকে পড়েন কৃষকরা। দূরবর্তী স্থানে কৃষিপণ্য রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক সমাজ।
জানা গেছে, ঈদগাঁও উপজেলার আওতাধীন পাঁচটি ইউনিয়নের কোন স্থানে নেই হিমাগার। এতে চরমভাবে বিপাকে রয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। এখানকার চাষী কিংবা কৃষকরা পর্যটন জেলা কক্সবাজার পেরিয়ে চট্টগ্রামের আধুনগর আর দোহাজারী এলাকার হিমাগারে পণ্যসামগ্রী রাখছেন। উপজেলা আলাদা হওয়া সত্বেও সরকারী বা বেসরকারি পর্যায়ে এখনো গড়ে উঠেনি সংরক্ষণাগার । স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত পন্য সংরক্ষণের অভাবে দুর্ভোগে পড়েন কৃষকরা। আলুসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি উৎপাদন করেও যথাসময়ে সংরক্ষণ করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছেন।
ঈদগাঁও মাইজ পাড়ার ছব্বির নামের এক চাষী জানান,বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকার যদি হিমাগারের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে উৎপাদিত সবজি সংরক্ষণ করতে পারতো। আধুনগর ও দোহাজারী এলাকায় গিয়ে উৎপাদিত পন্য হিমাগারে রাখতে হচ্ছে এখানকার কৃষকদের। এতে করে শ্রম ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষা-চাষীরা। ঈদগাঁওতে সংরক্ষণাগার অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে যদি ঈদগাঁও উপজেলায় হিমাগার স্থাপন করা যেতো তাহলে সবজি বা অন্যান্য পণ্য নষ্ট হতনা। যদি স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণাগারের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে ক্রেতা বিক্রেতা উপকৃত হতো বলে মনে করেন আবুল বশর নামের এক ব্যবসায়ী।
ঈদগাঁও যুব ঐক্য পরিবারের দায়িত্বশীল ফাহিম, মামুন জানান, চাষীদের সমস্যা হচ্ছে পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকা। কৃষক সমাজের সুবিধার্থে হিমাগার বা সংরক্ষণাগার স্থাপনের দাবী।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিকু দাশ সুব্রত জানান, ঈদগাঁও উপজেলায় হিমাগার নেই। যার কারণে উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ করতে পারছেন না কৃষকরা। দূরবর্তী স্থানে গিয়ে সংরক্ষণে রাখতে হচ্ছে। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্তে কৃষক।
নবান্ন টিভি/ এম আবু হেনা সাগর