আজমীর ওসমান নেই, সন্ত্রাসী আমির, শাহ নিজামও পালিয়েছে। আত্মগোপনে আছে ফতুল্লা ইউনিয়নের নবাগত চেয়ারম্যান শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন ফাইজুল। তাই এলাকায় অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে জাকির খানকে বাপ বানাতে মরিয়া এখন ফতুল্লা মডেল থানাধীন কুতুবপুর-নয়ামাটি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ একাধিক মামলার আসামি মোহাম্মদ শরীফ ও তার সহোদর ভাই বাদশা।
হঠাৎ করে নারায়ণগঞ্জ লিং রোডের চাষাড়া ও সাইনবোর্ড এলাকার সকল পাঠাও বাইক চালকদের ভাড়া করে তাদেরকে কর্মী সাজিয়ে বিএনপি নেতা জাকির খানের মুক্তির দাবীতে আদালত অভিমূখে হওয়া মিছিলে যোগ দেয় পল্টিবাজ শরীফ ও তার সহোদর ভাই বাদশা সহ সহযোগী মাদক বিক্রেতারা। এ নিয়ে এলাকায় শোনা যাচ্ছে নানা গুঞ্জন।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন কুতুবপুর-নয়ামাটি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, পুলিশের অস্ত্রলুটের হোতা, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী, একাধিক মামলার আসামি মোহাম্মদ শরীফ ও বাদশা গং এতকাল ছিল নারায়ণগঞ্জের যুবরাজ খ্যাত আজমেরী ওসমানের সকল অপকর্মের অন্যতম সহযোগী আমিরের চেলা। ওরা কখনও কখনও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম শামীম ওসমানের ক্যাডার শাহ নিজামের চামচা হিসেবে নিজেদের কে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে কুতুবপুর-নয়ামাটি এলাকায় করেছে নানা অপরাধ কর্মকান্ড। আর এখন বিএনপি নেতা জাকির খানের কর্মী পরিচয় দিতে শুরু করেছে ওরা।
এ নিয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিএনপি নেতাকর্মী এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকার মৃত সুলাইমানের পুত্র মোঃ শরীফ ও বাদশা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ করতো। তাদের সে প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় নানান অপকর্ম করে বেড়াতো।
গত ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন এক দফা আন্দোলনে বাধ্য হয়ে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায়।
সেই সাথে তার এমপি মন্ত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীরা পলাতক জীবন যাপন করলেও চতুর শরীফ ও বাদশা ভুল পাল্টিয়ে যুবদলের নামধারী ক্যাডার আনোয়ার সানি ওরফে কানা আনোয়ারের সহযোগিতায় জাকির খানের অনুসারী বনে যায়। সেই সুযোগে সম্প্রতি কুতুবপুর নয়ামাটিতে অবস্থিত সুপারস্টার কোম্পানিতে গিয়ে তাকে ছাড়া কাউকে মাল দিতে নিষেধ করে আসে বহিরাগতদের নিয়ে ।
অপরদিকে দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের শিকার হয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া থাকলেও শরিফ ও বাদশা দিব্যি এলাকায় অবস্থান করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়।
একটি সূত্র হতে জানা যায়, শরিফের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের পয়লা ডিসেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় নারী নির্যাতন ও শিশু দমন আইনে একটা মামলা দায়ের করা হয়। যার নম্বর ৫, এছাড়াও ফতুল্লা মডেল থানায় আরেকটা চাঁদাবাজি, মারামারি মামলা দায়ের করা হয় ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর। যার নাম্বার ৮৬, এছাড়াও পুলিশের অস্ত্রলুটের মামলা রয়েছে শরিফের বিরুদ্ধে।সেই মামলায় জেলও খাঁটে। মাদকসহ র্যাবের হাতে আটক হয়ে দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আসে বাদশা ও শরিফ। সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলি বর্ষণ করে।
আওয়ামী লীগ সরকারের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা সত্ত্বেও শরীফ ও তার ভাই বাদশা সম্প্রতি বিএনপি’র আরেক ক্যাডার জাকির খানের অনুসারী বনে গেছে। জাকির খানের জামিন শুনানীর দিন কোটে বিশাল মোটরসাইকেল বহর নিয়ে মহড়া দেয়। ১১ই আগষ্ট রবিবার সকালে
তাদের সহযোগিতা করছে যুবদল নামধারী ক্যাডার আনোয়ার সানি ওরফে কানা আনোয়ার গংরা।
অপরদিকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,ভূমিদস্যু সহ নানা অপকর্মের হোতা শরিফ ও বাদশা সহ তার বহিরাগত সহযোগীরা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ওয়েস্টিজ মালামাল দখল করার জন্য এলাকায় মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে।
তদন্ত সাপেক্ষে শরীফ, বাদশা সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ফতুল্লা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন এলাকাবাসী।