প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে অন্যদের জন্য ‘মডেল’ এবং ‘উদাহরণ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন কেননা উভয় দেশ আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করেছে।
ভারতের নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি মঙ্গলবার (০২ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবন কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থল সীমানা ও সমুদ্রসীমা সমাধানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “এগুলোর (সমাধান) সমন্বয়ে এই উদাহরণ তৈরি করা হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনার মাধ্যমে স্থল সীমানা, সমুদ্রসীমার সমাধান করেও বাংলাদেশ ও ভারত উদাহরণ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় জনগণের সহায়তা ও অবদান সবসময় স্মরণ করি।
ভারতের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে. ত্রিপাঠী বলেন, তিনি বাংলাদেশকে নিজের বাড়ির মতো অনুভব করছেন কারণ প্রকৃতিগত দিক থেকে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে পার্থক্য সামান্য।
উভয় দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা সম্পর্কে অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠি বলেন, যদি বাংলাদেশ নৌবাহিনী কোনো সহযোগিতা চায়, তবে না বলার কোনো সুযোগ নেই।
ভারতের নৌবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর (বিএমএম) পরিদর্শন করেন এবং এটিকে বিশ্বমানের বলে উল্লেখ করে বলেন, তিনি বিএমএম পরিদর্শন করে অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছেন।
বাংলাদেশের অনেক নৌ কর্মকর্তা ভারতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন উল্লেখ করে দীনেশ ত্রিপাঠী বলেন, বাংলাদেশ চাইলে আরও অফিসার পাঠাতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের নৌ বাহিনী প্রধান বলেছেন বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরকে শান্তিপূর্ণ রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েরই মানসিকতা একই। এক্ষেত্রে উভয় দেশই একসঙ্গে কাজ করবে। দুই দেশ এই অঞ্চলে কোনো ব্যাঘাত আশা করে না।
ধানমন্ডি-৩২-এ বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করেও ভারতের নৌ প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ ও অবদানের প্রতিফলন দেখে তিনি অভিভূত হয়ে পড়েন।
ভারতের নৌবাহিনী প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসাও করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।