ক্রীড়া পরিষদের বরাদ্দকৃত দোকান ভাড়ার বাড়তি টাকা কোথায় যায়? তা খতিয়ে দেখবেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।
সরকারি সম্পত্তি নিয়ে নয় ছয়! একজনের নামে বরাদ্দ, তো দোকানের মালিকানায় অন্য কেউ। গেল ৩০ আগস্ট ক্রীড়া পরিষদের এই দুনীতির খবর উঠে আসে সময় সংবাদের অনুসন্ধানে। আলোচিত এই সংবাদে নড়েচড়ে বসেন দেশের ক্রীড়াঙ্গন। এবার সরেজেমিনে তার খোঁজ নিতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শনে গিয়েছেন উপদেষ্টা।
প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতির গন্ধ পেয়েছে মন্ত্রনালয়। দায়িত্ব থেকে অপসারন করা হয়েছে ক্রীড়া পরিষদ সচিবকে। তবে এখানেই থেমে না থেকে পুরো সিন্ডিকেটের মুলোৎপাটন করতে চান ক্রীড়া উপদেষ্টা। অধিকতর তদন্তের জন্য যাচাই বাছাই করবেন পুরনো সব নথি।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের সরকারি খাতায় এইসব দোকানের ভাড়া প্রতি বর্গফুট ২৬ টাকা। আমি যতটুকু তথ্য পেলাম তা থেকে আমি দেখেছি আর তাদের চুক্তির কাগজগুলোও আমাদের দিতে বলেছি। তারা ভাড়া দেন প্রতি বর্গফুট ২১৭ টাকা। তো অতিরিক্ত ভাড়াটা কোথায় যায় এটা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে।’
বাস্তবতার নিরিখে দোকান বরাদ্দের সেঁকেলে নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চান ক্রীড়া উপদেষ্টা। বর্তমান বাজারমূল্য যাচাই করে নতুন করে বরাদ্দ হবে এনএসসির দোকান। মাঝে থাকবে না কোন মধ্যসত্যভোগি। এনএসসির আয় বাড়িয়ে ফেডারেশনগুলোরো বরাদ্দ বাড়ানোর জন্যই এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন দিন বদলের এই পতাকা বাহক।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘ভাড়াটা ২২ টাকা স্কয়ার ফিট মান্দাতা আমলের ভাড়া। আমাদের প্রাথমিক চিন্তা হলো এখনকার ভাড়ার স্ট্যান্ডার্ড কেমন, এরা কি দিচ্ছে তার পর নতুন করে নতুন করে পুনরায় ভাড়া দেবো। এটা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটা দেখবো।’
পাশাপাশি ক্রীড়া পরিষদের আরও যেসব অসঙ্গতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে দ্রুতই কাজ শুরু হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।