পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার এবং পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জাতীয় পরিবেশ পদক, ২০২৪’-এর জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে তিন ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠান।
গত সোমবার (২ জুন) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০ মনোনয়ন চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, দেশে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরিবেশ ও বৃক্ষের কল্যাণে প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছেন।
এছাড়া,সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালেয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো : মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি), সাভার এর প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কনকর্ড রেডিমিক্স এন্ড কনক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেড ও কনকর্ড প্রি-স্ট্রেসড কনক্রিট এন্ড ব্লক প্লান্ট লিমিটেড কনকর্ড সেন্টারকে মনোনীত করা হয়েছে।
পরিবেশগত শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে খ্যাতিমান জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. সালীমুল হক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) কে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে ড. জহুরুল করিম এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্যক্তি পর্যায়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগরের বাসিন্দা মো. মাহমুদুল ইসলাম এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে স্নোটেক্স আউটারওয়ার লিমিটেড এ পুরস্কার পাচ্ছে।
পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে পদক পাচ্ছেন প্রফেসর ড. এম. ফিরোজ আহমেদ। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)।
পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি পর্যায়ে মনোনীত হয়েছেন চট্টগ্রামের সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট।
জাতীয় পরিবেশ পদক পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে ২২-ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার টাকার চেক এবং ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।