রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং মারধরের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
শনিবার (১৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার চৌধুরী মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পরিবহন বিভাগের গাড়িচালক খলিলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। সেই মামলার এজাহার আজ আদালতে আসে। আদালত সেই এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের এ দিন ধার্য করেন।
আজ শনিবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১১ জুলাই কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি ছিল। সে অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্ররা জড়ো হয়ে বিভিন্ন হলের সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে বিকেল ৪টার সময় স্লোগান দিতে দিতে শাহবাগ মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অতিক্রম করে বেআইনি জনতায় আবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করেন। তারা শাহবাগ মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন ও পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মারধর করে সাধারণ জখম করেন।’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলতি মাসের শুরু থেকে সড়ক-মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বাংলা ব্লকেড নামে তারা সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। এরপর হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা দিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের পর বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) থেকে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সরকার। তারই অংশ হিসেবে ওইদিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করতে এলে ঢাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। এছাড়া কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে পুলিশ তাদের ওপর হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।