চীনে তিন দিনের দ্বিপাক্ষিক সফর নিয়ে কাল সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের বিষয়ে জানাতে আগামীকাল রোববার এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ হাসিনার বহুল আলোচিত চীন সফর শেষ হয়েছে। কিন্তু সফরটিকে ঘিরে সৃষ্ট আলোচনা এবং পর্যবেক্ষণ থামেনি। বরং সেটি আরও বিস্তৃত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বোদ্ধারা এখন সফরটির আউটকাম বিশ্লেষণ করছেন। রিজার্ভ সংকটসহ বাংলাদেশের নানামুখি চ্যালেঞ্জের এই কঠিন সময়ে উন্নয়নবন্ধু চীনের ব্যাপক অর্থনৈতিক সাপোর্ট প্রত্যাশা করেছিল ঢাকা। অবশ্য সেই প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে তুলেছিল চীনই। বেইজিং প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সম্পর্কের ‘গেমচেঞ্জার’ বলে আগাম মন্তব্য করেছিল। তাছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সাইড লাইনে আচমকা চীনা প্রতিনিধি বাণিজ্য সহায়তা হিসাবে বাংলাদেশকে ৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা প্রদানের প্রস্তাব করেন। যা নিয়ে গত চার মাস ধরে নেগোসিয়েশনে কাটায় দুই দেশ। পররাষ্ট্র সচিবের বেইজিং সফরে এবং ইআরডি’র সঙ্গে সিরিজ বৈঠকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়।
আগামী-কাল বিকাল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে গত ৮ জুলাই বেইজিং সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরসূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সব কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সফরসূচিতে পরিবর্তন এনে একদিন আগে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।
বেইজিংয়ে প্রধানমন্ত্রী ৮ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত অবস্থানকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করেন।