বিশ্বকাপের দলে এবাদত হোসেনকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল আগে থেকেই। সেই শঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্য হলো।
হাটুর ইনজুরি এবাদত হোসেনকে এশিয়া কাপের পর এবারে ছিটকে দিলো আসন্ন বিশ্বকাপ থেকেও।
ইনজুরি থেকে মুক্তি পেতে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুদিন আগেই লন্ডনে গিয়েছিলেন এবাদত। লক্ষ্য ছিলো তার আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার।
কিন্তু হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করানো লাগবে বিধায় লম্বা সময়ের জন্য ক্রিকেট থেকে ছিটকে গেলেন এবাদত।
অস্ত্রোপচারের পর এবাদতকে ৯ মাস থাকতে হবে বিশ্রামে। বাধ্যতামূলকভাবেই থাকতে হবে ২২ গজ থেকে দূরে।
আর সে কারণেই অবধারিতভাবে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনাটাও শেষ হয়ে গেলো ডানহাতি এই পেসারের।
যদিও প্রাথমিক অবস্থায় এবাদত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ত্রোপচার এখনই না করানোর।
বিশ্বকাপ খেলে এরপর তিনি অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এর আগ পর্যন্ত পুনর্বাসনের মাধ্যমে কমিয়ে আনতে চেয়েছিলেন ইনজুরির প্রকটতা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সেটি হয়ে ওঠেনি। বিশ্বকাপের আগেই তাকে যেতে হচ্ছে অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে।
লন্ডনে গিয়ে পরীক্ষা করানোর পর সেখানকার চিকিৎসকেরা এবাদতকে পুরোপুরি সুস্থ্য করে তুলতে অস্ত্রোপচার ভিন্ন অন্য উপায় খুঁজে পায়নি।
যে কারণে অনিচ্ছা স্বত্বেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছে টাইগার এই পেসারের।
অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশের পূর্বে নিজের ফেসবুক পেজে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
এর আগে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের সময় হাঁটুতে চোট পান জাতীয় দলের পেসার এবাদত হোসেন।
ইনজুরির কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল টিম ও টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে রেখেছিল ছয় সপ্তাহের বিশ্রামে।
আসন্ন এশিয়া কাপ দিয়ে ফেরার কথা ছিল তার।
কিন্তু ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে তাকে।
অনুশীলনের সময় হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করায় এশিয়া কাপে খেলার ইচ্ছা বাদ দিতে হয় তার।
এবাদতের হাঁটুর ইনজুরিটা ‘এসিআই গ্রেড ওয়ান’ লেভেলের।
পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে এই ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা সম্ভব, কিন্তু তাতে পুরোপুরি সুস্থ্য হওয়া সম্ভব না।
পুরোপুরি সুস্থ্য হতে হলে অস্ত্রোপচার ভিন্ন পথ নেই।
অনুশীলনের সময় ব্যথা অনুভব করায় কয়েকদফায় এমআরআই করানো হয় এবাদতের হাঁটুতে।
সেগুলোর রিপোর্ট দেখে বোর্ডের মেডিক্যাল ইউনিট নিশ্চিত হয়, টাইগার এই পেসারের চোটাক্রান্ত হাঁটুর এসিএল লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আর সেটি থেকে এবাদতকে পুরোপুরি পরিত্রাণ দিতে তাকে লন্ডনে প্রেরণ করে বোর্ড।