নাসাউ কাউন্টির ড্রপইন পিচে প্রোটিয়া পেসারদের তোপে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা। হুটহাট বলের লাফিয়ে ওঠা আর কিছুটা স্লো হয়ে আসায় টাইমিং করতেই খাবি খেয়েছে লঙ্কানরা। ছোট লক্ষ্য
ব্যাট করতে নেমে ভুগলো প্রোটিয়ারাও। জয় পেলেও এই রান করতেই ঘাম ছুটে গেছে মার্করামের দলের।
শ্রীলঙ্কা এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়। যা তাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। জবাব দিতে নেমে ৫৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর হেনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের ব্যাটে ১৬.২ ওভারে ৮০ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা। ক্লাসেন ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার।
৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০ রানের মাথায় রেজা হেনড্রিকসের উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। থুশারা, পাথিরানাদের স্লিংগিং অ্যাকশনের বল সামলাতে খাবি খাচ্ছিল প্রোটিয়ারা। ২৩ রানের মাথায় অধিনায়ক মার্করামও বিদায় নেন। ১৪ বলে ১২ রান করে শানাকার শিকারে পরিণত হন তিনি।
এরপর ৩৯ বলে ২৮ রানের জুটি গড়েন ত্রিস্তান স্ট্যাবস ও ডি কক। ২৭ বলে ২০ রান করা ডি ককের বিদায়ে এই জুটি ভাঙে। প্রোটিয়াদের সংগ্রহ তখন ১০.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৩ রান। আর ৫ রান যোগ হতে স্ট্যাবসও বিদায় নেন। ১৩ রান করতেই ২৮ বল খেলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের জুটিতে জয় নিশ্চিত হয় প্রোটিয়াদের। ২২ বলে ১৯ রান করেন ক্লাসেন। মিলার ৬ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে হাসারাঙ্গা ২২ রানে ২ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া শানাকা ও থুশারা একটি করে উইকেট শিকার করেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন নরকিয়া।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়াদের তোপের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে ৪ উইকেট শিকার করেন আনরিখ নরকিয়া। তার তোপে মাত্র তিনজন লঙ্কান ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেন। ৩০ বলে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন কুশল মেন্ডিস। এছাড়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ১৬ ও কামিন্দু মেন্ডিস ১১ রান করেন। নরকিয়া বাদেও কেশভ মহারাজ ও রাবাদা ২টি করে উইকেট শিকার করেন। একটি উইকেট শিকার করেন বার্টমান।