কারও কাছে অহেতুক সময় নষ্ট, আবার কারও কাছে এটাই ক্যারিয়ার, এটাই নেশা-পেশা! মোবাইলে গেমস খেলে ক্যারিয়ার গঠন করেও যে বছরে লাখ থেকে কোটি টাকা আয় করা যায়, সে ধারনাইটা পালটে দিয়েছে পাবজিসহ ই-স্পোর্টস দুনিয়া।
অনেক দেশ যখন ই-স্পোর্টসে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্দান্ত গতিতে, তখনও নানা প্রতিবন্ধকতা আর নিষেধাজ্ঞার কবলেই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। অথচ, সম্প্রতি নেপালে শেষ হওয়া পাবজি মোবাইল সুপার লিগেও ভালো ফলাফল করেই ফিরেছে দেশের এ-ওয়ান ই-স্পোর্টস। যেখানে অংশ নেয় আরও ২০টি দেশ।
ই-স্পোর্টস প্লেয়ার হাসান মাহমুদ বলেন, ‘রিসেন্টলি আমরা নেপাল থেকে পাবজি মোবাইল সুপার লিগ সিজন-২ খেলে এসেছি। ওই টুর্নামেন্ট থেকে পাবজি ওয়ার্ল্ডকাপের জন্য কোয়ালিফাই করা হয়। যেখানে পুরো বিশ্ব থেকে বিভিন্ন টিম অংশগ্রহণ করে। আর এই ওয়ার্ল্ডকাপ টুর্নামেন্টে প্রায় ৬৫০ কোটির টাকার প্রাইজ দেয়া হয়। রিসেন্টলি খেলে আসলাম ওইটার প্রাইজমূল্য ছিল ২ লাখ ডলার, যা বাংলা টাকায় প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ। সেখানে সেন্ট্রাল এশিয়া এবং সাউথ এশিয়ার টিমগুলো অংশগ্রহণ করে। সেখানে কয়েক হাজার টিমের মধ্যে আমরা টপ-১৬তে ছিলাম। বাংলাদেশের পতাকা সেখানে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি আমরা।’
শুধু নেপাল নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায়ই আয়োজন করা হয় পাবজি মোবাইল চ্যাম্পিয়নশিপের। যেখানে খেলে লাখ লাখ ডলার আয় করছেন প্লেয়াররা। কিন্তু কোথায় জেনো একটু গোলমেলে। দেশে পাবজিসহ ই-স্পোর্টস নিয়ে রয়েছে নানা ভ্রান্তিকর প্রচারণা, আক্ষেপ নিয়েই এসব বলছিলেন পাবজি প্লেয়ার সাফায়াত।
সাফায়াত বলেন, ‘পাবজি প্লেয়ার হিসেবে আমাদের একটাই চাওয়া, বাংলাদেশ থেকে পাবজি যেন আনব্যান করা হয়। আমরা অনেকগুলো টুর্নামেন্ট খেলেছি, আমরা দেশকে রিপ্রেজেন্ট করেছি। এবার দেশেও অফিসিয়াল টুর্নামেন্টে খেলতে চাই। আর পাবজি আনব্যান করা হলে আমরা দেশকে আরও বেশি রিপ্রেজেন্ট করতে পারব।’
বর্তমানে মিউজিক কিংবা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি থেকেও বড় বাজার রয়েছে গেমিং ও ই-স্পোর্টসে। সৌদি আরবেই ই-স্পোর্টসের একটি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাইজমানি রাখা হয় ৬৫৮ কোটি টাকা।
ভারত, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশই ই-স্পোর্টসকে দিয়েছে জাতীয় স্বীকৃতি। জাপানের পাঠ্যপুস্তকেও রয়েছে এর অন্তর্ভুক্তি। তাই সঠিক নীতিমালার মাধ্যমে বাংলাদেশেও খেলাটির উম্মুক্তকরণ চায় ই-স্পোর্টস প্লেয়াররা।