পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ পরিত্যাগ করা। অন্যের ভালো দেখে কারও খারাপ লাগতে পারে। এটা দেখে যখন কেউ নিজের ভালো কামনা করে ও ভালো করার জন্য উৎসাহিত হয় তখন সেটাকে ঈর্ষা বলে।
অন্যের সুখ ও শান্তি দেখে যখন কারও খারাপ লাগে এবং অন্যের ক্ষতি করার ইচ্ছা হয় তখন সেটাকে হিংসা বলে। অন্যের ক্ষতি দেখে আনন্দ পেলেও তা হিংসা বলে গণ্য করা হয়। আরবিতে একে হাসাদ বলে। এই হিংসা সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে।
হিংসা একটি ভয়াবহ আত্মিক রোগ। এই রোগ থাকলে কেউ পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারে না। উপরন্তু নিজেকেই জলে পুড়ে ছাই হতে হয়। আল্লাহ তাআলা এর নেতিবাচক দিক তুলে ধরে বলেন, ‘..বলে দাও, তোমাদের আক্রোশেই তোমরা মরো..।’ (সুরা আলে ইমরান ১১৯)। নবীজি (সা.) বলেন,
তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থাকো। কেননা হিংসা নেক আমল এমনভাবে খেয়ে ফেলে (ধ্বংস করে দেয়) যেমন আগুন কাঠখণ্ডকে খেয়ে ফেলে (জ্বালিয়ে শেষ করে দেয়)। (আবু দাউদ ৪৯০৩)
অন্যের হিংসা থেকে বেঁচে থাকার দোয়া :
সুরা নাস–
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
কুল আউজু বিরাব্বিন নাস
মালিকিন্ নাস
ইলাহিন্ নাস
মিন্ শররিল ওয়াস্ওয়াসিল খান্নাস
আল্লাজি ইউওয়াসয়িসু ফি ছুদুরিন নাস
মিনাল ঝিন্নাতি ওয়ান নাস
পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে।
অর্থ: বলো, ‘আমি শরণ নিচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধীশ্বরের, মানুষের উপাস্যের, তার কুমন্ত্রণার অমঙ্গল হতে, যে সুযোগমতো আসে ও সুযোগমতো সরে পড়ে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে বা মানুষের মধ্য থেকে।’
সুরা ফালাক–
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
কুল আউজুবিরাব্বিল ফালাক
মিন শাররি মা-খালাক
ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব
ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল উকাদ
ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ
অর্থ: বলো, ‘আমি শরণ নিচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অমঙ্গল হতে; অমঙ্গল হতে রাত্রির, যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়। অমঙ্গল হতে সেসব নারীর যারা গিটে ফুঁ দিয়ে জাদু করে। এবং অমঙ্গল হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।’