1. aoroni@nobanno.com : AORONI AKTER : AORONI AKTER
  2. aporna@gmail.com : Aporna Halder : Aporna Halder
  3. admin@hostitbd.xyz : hostitbd :
  4. admin@nobannotv.com : NobannoTV : admin Nobannotv
শবে কদরের রাতে যে আমল অবশ্যই করবেন — Nobanno TV
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন

শবে কদরের রাতে যে আমল অবশ্যই করবেন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৭ বার পঠিত

হাজার মাসের ইবাদতের থেকে উত্তম শবে কদর বা লাইলাতুল কদর। এ রাতে ইবাদতের সৌভাগ্য লাভ হলে আল্লাহ তায়ালা অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, শবে কদরের রাত্রে দাঁড়ায়, তার আগেকার সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারি)।

এ রাতটি রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে খুঁজতে বলা হয়েছে হাদিসে। আয়েশা রা. বলেন, নবীজি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০১৭, সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬৯)

কদরের রাতটিকে হাদিসে নির্দিষ্ট করা হয়নি। এ রাতটি সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সা. সাহাবিদের জানাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু দুই ব্যক্তির ঝগড়ার কারণে তা গোপন রাখা হয়। এ বিষয়ে হজরত উবাদা ইবনে সামিত রা. থেকে বর্ণিত যে—

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘লাইলাতুল কদর’ এর ব্যাপারে জানাতে বের হলেন। এ সময় দু্ইজন মুসলমান ঝগড়া করছিলেন। তখন নবী কারিম সা. বললেন, ‘আমি আপনাদের ‘লাইলাতুল কদর’ এর ব্যাপারে অবহিত করতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু অমুক অমুক ব্যক্তি বিবাদে লিপ্ত হওয়ায় তা (সেই জ্ঞান) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, উঠিয়ে নেওয়াটা আপনাদের জন্য বেশি ভালো হয়েছে। আপনারা সপ্তম (২৭ তম), নবম (২৯ তম) এবং পঞ্চম (২৫ তম) তারিখে এর সন্ধান করুন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯)

এজন্য কদরের রাতে ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকতে হবে। যেহেতু কদরের রাতটি নির্দিষ্ট নয়, তাই রমজানের শেষ দশকের পুরোটা সময় বিশেষ করে বেজোড় রাতগুলোতে ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত থাকা উচিত। বলা যায় না, কোনো একটি রাত হয়তো কদরের হলো কিন্তু কেউ বিবাদে লিপ্ত থাকার কারণে তা থেকে বঞ্চিত হলেন।

কদরের রাতের ফজিলত ও বরকত লাভের জন্য মোটামুটি সবাই রাতভর নফল নামাজ ও অন্যান্য ইবাদত করে থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকে যে ভুলটি করেন তাহলো জামাতে নামাজে গুরুত্ব দেন না। অথচ নফল ইবাদতের থেকেও ফরজের গুরুত্ব বেশি।

এজন্য সম্ভাব্য শবে কদরে অন্তত এশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায়ের চেষ্টা করতে হবে। কোনোভাবে যেন জামাতের নামাজ ছুটে না যায় এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

তাহলে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী শবে কদরের ফজিলত লাভ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ে, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৬)

নবান্ন টিভি

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2023 nobannotv.com
Design & Development By Hostitbd.Com