1. aoroni@nobanno.com : AORONI AKTER : AORONI AKTER
  2. aporna@gmail.com : Aporna Halder : Aporna Halder
  3. admin@hostitbd.xyz : hostitbd :
  4. admin@nobannotv.com : NobannoTV : admin Nobannotv
জুলুমের শাস্তি দুনিয়াতেও ভোগ করতে হয় — Nobanno TV
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৫ অপরাহ্ন

জুলুমের শাস্তি দুনিয়াতেও ভোগ করতে হয়

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৬৫ বার পঠিত

যার যা প্রাপ্য অধিকার সেটা থেকে কাউকে বঞ্চিত করাই জুলুম। জুলুম করা অত্যন্ত ভয়াবহ অপরাধ। পরকালে এর পরিণাম হবে অত্যন্ত কঠিন। সাধারণত রাজা-বাদশা বা ক্ষমতাবানরা মানুষের ওপর জুলুম করে, মানুষকে মারধর করে। আপাতদৃষ্টিতে বেশিরভাগ মানুষ এটাকেই জুলুম মনে করে। আসলে এটাই শুধু জুলুম নয়, জুলুম নানাভাবে নানা উপায়ে হতে পারে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘দুটি গুনাহ এমন আছে, যার শাস্তি পরকালে অবধারিত থাকা সত্ত্বেও দুনিয়ায়ও দিয়ে দেওয়া হয়। একটি হলো কারো ওপর জুলুম করা; অন্যটি হলো আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)

পরস্পর ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির চর্চা করার মাধ্যমেই শান্তি আসে। সমাজে একে অন্যের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি হয়। ধনী-গরিবের মধ্যে আস্থা দৃঢ় হয়। এতে সমাজের উন্নয়ন হয়, রাষ্ট্রের উন্নতি হয়। সচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়। সর্বত্র শান্তি বিরাজ করে। পক্ষান্তরে জুলুম সমাজের শান্তি ও স্থিতি বিনষ্ট করে।

সুখ ও সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে। তাই ইসলাম মানুষকে ইনসাফে উদ্বুদ্ধ করেছে। জুলুম করতে নিষেধ করেছে। হাদিসে কুদসিতে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ বলেন, ‘হে আমার বান্দা! আমি নিজের ওপর জুলুম হারাম করেছি এবং এই জুলুমকে তোমাদের মধ্যেও হারাম করেছি। সুতরাং তোমরা পরস্পর জুলুম করো না।’ (মুসলিম ৬৭৩৭)

মানুষ মনে করে, অন্যকে কষ্ট দিয়ে সে সুখ পাবে। অন্যের সম্পদ লুণ্ঠন করে সে লাভবান হবে। অন্যের সম্মান বিনষ্ট করে সে মর্যাদাবান হবে। অথচ প্রকৃত অবস্থা এর ব্যতিক্রম। জুলুমের প্রতিদান জালিমকে পেতেই হবে। শুধু পরকালেই নয়, দুনিয়ায়ও মানুষকে তার অপকর্মের কুফল ভোগ করতে হয়। বিশেষত জুলুম-অত্যাচার ও অন্যের অধিকার কেড়ে নিলে দুনিয়ায়ই আজাব আসে।

জুলুম বিভিন্নভাবে করা হয়। কখনো দৈহিকভাবে, কখনো মানসিকভাবে। কখনো অপমান করে, কখনো মিথ্যাচার করে। কখনো দোষ অন্বেষণ করে, কখনো অপবাদ আরোপ করে। সর্বাবস্থায় জালিমকে এর প্রতিফল পেতে হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহ জালিমকে অবকাশ দেন। অবশেষে যখন তাকে পাকড়াও করেন, তখন তার পলায়নের অবকাশ থাকে না। (বুখারি ৪৬৮৬)

তারপর কিয়ামতের দিন এই জুলুমের জন্য কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা জুলুম থেকে বেঁচে থেকো। কেন না জুলুম কিয়ামতের দিন কঠিন অন্ধকার আকার ধারণ করবে। (মুসলিম ৬৭৪১)

রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, কেউ যদি তার কোনো ভাইয়ের সম্মানহানি কিংবা কোনো ক্ষতি করে থাকে, তবে আজই (দুনিয়ায়ই) তার কাছ থেকে তা বৈধ করে নেওয়া উচিত (ক্ষমা চেয়ে নেওয়া এবং ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া উচিত)। আর কাজটি সেই ভয়াবহ দিন আসার আগেই করতে হবে, যেদিন টাকাকড়ি দিয়ে কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না। জালিমের কাছে কোনো নেক আমল থাকলে তার জুলুমের সমপরিমাণ নেক আমল মজলুমকে দিয়ে দেওয়া হবে। আর তার কোনো নেক আমল না থাকলে ওই মজলুমের পাপের বোঝা জালিমের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। (বুখারি ও তিরমিজি)

নবান্ন টিভি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2023 nobannotv.com
Design & Development By Hostitbd.Com