যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালে গুলিতে রেকর্ডসংখ্যক শিশু নিহত হয়েছে।
আমেরিকান একাডেমিক অব পেডিয়াটিক্স (এএপি) প্রকাশিত এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্যা জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধকেন্দ্র প্রকাশিত মৃত্যুহার-সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।
গত সোমবার (২১ আগস্ট) এএপির পেডিয়াট্রিক্স সাময়িকীতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
এতে দেখা যায়, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আঘাত ও ঘটনায় ৪ হাজার ৭৫২ জন শিশু নিহত হয়েছে।
যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪০০ বেশি। ২০২০ সালে দেশটিতে একইরকম ঘটনায় ৪ হাজার ৩৬৮ শিশু নিহত হয়েছিল।
আর ২০১৯ সালে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৯০ জন।
২০২০ সাল থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণ বন্দুক সহিংসতা।
এই বছরের শুরুতে দেশটির নাশভিলের একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে তিন শিশু এবং তিনজন শিক্ষক নিহত হয়।
ওই ঘটনার পর টেনেসির আইনপ্রণেতারা জননিরাপত্তা নিয়ে একটি বিশেষ অধিবেশন শুরু করেছেন।
আর এমন সময়েই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো।
বিশেষ ওই অধিবেশনে টেনেসির গভর্নর বিল লি বলেছেন, আগ্নেয়াস্ত্র যেন মানুষের হাতে না থাকতে পারে, সে জন্য আইন জোরদার করতে হবে।
তবে রিপাবলিকান নেতারা তার বক্তব্যের বিরোধিতা করেন।
বন্দুক সহিংসতায় শিশু মৃত্যুর হার বাড়া নিয়ে আতঙ্কিত শিশু চিকিৎসকেরা। তাদের একজন অ্যানি অ্যান্ড্রুস।
তিনি বলেন, ‘আমি যখন চিকিৎসক হই তখনও ভাবিনি বিপুলসংখ্যক শিশু গায়ে বুলেটের ক্ষত নিয়ে আসবে এবং আমাকে তাদের চিকিৎসা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, তবে বাস্তবতা হলো দেশের প্রতিটি শিশু হাসপাতালেই শিশুদের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে গুলিবিদ্ধ শিশুর উপস্থিতি আছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে হত্যার শিকার প্রায় ৬৭ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ।
আর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে আত্মহত্যা করা শিশুদের মধ্যে প্রায় ৭৮ শতাংশ শেতাঙ্গ।
আরও পড়ুন :