লিবিয়ায় সুনামি আকারের ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় চূড়ান্ত মৃতের সংখ্যা ২০,০০০-এর বেশি হতে পারে বলে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
তবে এখনও পর্যন্ত সেখানে ১১ হাজার ৩০০ জনের লাশ পাওয়া গেছে। বর্তমানে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি অভূতপূর্ব ত্রাণ অভিযান চলছে।
দেশটির দেরনা শহরের মেয়র বলেছেন, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে শহরে মৃতের সংখ্যা ২০,০০০ হতে পারে।
লিবিয়ার সরকার বলেছে, মানবীয় ভুলের কারণে এই বিপর্যয় ঘটেছে এবং এর তদন্ত হতে হবে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) লিবিয়া সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, কি কারণে এই ভয়াবহ বন্যা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এই বন্যা এড়ানো সম্ভব ছিল কিনা তাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
লিবিয়ান প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মেনফি সামাজিক মাধ্যম এক্স পেইজে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন,
ভয়াবহ বন্যার কারণ ও কর্মকর্তাদের ত্রুটি বিচ্যুতির বিষয়ে তদন্ত করার জন্য দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জলাধার নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে যেসব কর্মকর্তার ব্যর্থতা রয়েছে এবং যারা এর জন্য দায়ী তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
পাশাপাশি যারা এ কাজে সহযোগিতা করেছে তারাও জবাবদিহিতার আওতায় আসবে।
গত রোববার ভূমধ্যসাগরে সৃষ্ট ভয়াবহ ঝড়ের কবলে পড়ে লিবিয়ার দেরনা শহরের কয়েকটি বহুতল ভবন সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত ও বন্যার পানিতে ভেসে যায়।
এছাড়া শহরের একটি বিশাল জলাধার বিধ্বস্ত হয়েছে।
এর ফলে লিবিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। এ সময় হাজার হাজার ঘুমন্ত মানুষ বন্যার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
এরপর বন্যাকবলিত দেরনা শহরের মেয়র আব্দুলমেনাম আল-গাইথি আশংকা প্রকাশ করে বলেন যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে তাতে ২০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়ে থাকতে পারে।
সূত্র : আল-জাজিরা, আরব নিউজ