তামিলনাড়ুর একটি মন্দিরের দানবাক্সে (হুন্ডিয়াল) এক ব্যক্তি ভুলবশত একটি আইফোন ফেলেছেন। কিন্তু পরে আর তাকে সেটি ফেরত দেয়া হয়নি। আইফোনটির মালিক দীনেশ। তিনি মন্দির কর্তৃৃপক্ষের কাছে সেটি ফেরত চাইলে তাকে বলা হয়, আইফোনটি মন্দিরের নৈবেদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
দীনেশ যখন আইফোনটি ফেরত চান তখন তামিলনাড়ুর হিন্দু ধর্মীয় ও দাতব্য এনডাউমেন্ট বিভাগ বিনয়ের সঙ্গে তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। তারা জানান, আইফোনটি এখন মন্দিরের সম্পত্তি হয়ে গেছে।
মন্দিরের একজন কর্মী বলেন, ‘হুন্ডিয়াল (সংগ্রহ বাক্স) রুলস ১৯৭৫ এর ইনস্টলেশন, সেফগার্ডিং এবং অ্যাকাউন্টিং এর অধীনে, মন্দিরের সংগ্রহ বাক্সে একবার কোন কিছু দেয়া হলে কোন অবস্থাতেই তা আর মালিকের কাছে ফেরত দেয়া যায় না। কারণ সেগুলো তখন মন্দিরের সম্পত্তি হয়ে যায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ খবর দিয়েছে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, ফোনটি নৈবেদ্য হিসাবে নেয়া হয়েছে। আইফোনের মালিক এখন শুধুমাত্র ডাটা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
দীনেশ, যিনি দুর্ঘটনাক্রমে ফোনটি সংগ্রহ বাক্সে ফেলে দেন, চেঙ্গলপাট্টু জেলার থিরুপুরুর শ্রী কান্দাস্বামী মন্দিরের আধিকারিকদের কাছে যান এবং আইফোনের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু মন্দির প্রশাসন তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।
হিন্দু ধর্মীয় ও চ্যারিটেবল এনডাউমেন্ট বিভাগের মন্ত্রী পি কে সেকার বাবু বলেন, ‘অর্ঘ্য বাক্সে যা কিছু জমা করা হয়, এমনকি যদি হঠাৎ করে বা ভুলবশত করা হয় তারপরও তা ঈশ্বরের অ্যাকাউন্টে চলে যায়।’
তিনি বলেন, তবে ভক্তকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কোনো সুযোগ আছে কিনা তা দেখার জন্য তিনি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
২০২৩ সালে কেরালার আলাপুজা থেকে আসা একজন ভক্ত এস সঙ্গীতা, দুর্ঘটনাক্রমে তার একটি মূল্যবান সোনার চেইন পালানির শ্রী ধান্দায়ুথাপানি স্বামী মন্দিরের হুন্ডিয়ালে ফেলে দিয়েছিলেন। নৈবেদ্য দেয়ার জন্য যখন তিনি তার গলার তুলসীর মালা খুলছিলেন তখন সেটি হুন্ডিয়ালের মধ্যে পড়ে যায়।
তার আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে এবং সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার পর যে চেইনটি দুর্ঘটনাক্রমে পড়ে গেছে, মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত খরচে একই মূল্যের একটি নতুন সোনার চেইন কিনে দিয়েছিলেন সঙ্গীতাকে।