কিউবা মিচেল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে যুক্ত হতে যাচ্ছেন , যিনি ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার । ফিফা তাকে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র দিয়েছে। এর ফলে এখন বাংলাদেশের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার জন্য আর কোনো আইনি বাধা নেই তার সামনে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জানিয়েছে, ৩ জুন রাতে ফিফার কাছ থেকে এই ছাড়পত্র এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হওয়ায় ফিফার নিয়ম অনুযায়ী মিচেল দেশের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট তৈরি ও ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে মাত্র দেড় মাসের মধ্যে।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী ,বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হওয়ায় বাংলাদেশের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন মিচেল। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার আগ্রহ প্রকাশ করার পর, বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানের সহায়তায় মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট তৈরি এবং ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করা হয়। সবশেষে ফিফার অনুমতিও পাওয়া গেছে।
মিচেল বর্তমানে ইংল্যান্ডের সান্ডারল্যান্ড ক্লাবের অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলেন। তিনি মূলত একজন আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার। বল নিয়ন্ত্রণ, গতি এবং পাসিং দক্ষতায় তার খেলা অনেকটাই ইউরোপীয় ধাঁচের। তার এমন কৌশলগত শক্তি বাংলাদেশের মিডফিল্ডে নতুন শক্তি ও গভীরতা যোগ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে মিচেলকে জাতীয় দলের মূল স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য এখনো অপেক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা তাকে সুযোগ দেবেন কি না, তা নির্ভর করছে দলের বর্তমান কৌশল ও প্রয়োজনের ওপর।
মিচেল বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করলে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেন। তার উদ্যোগে মাত্র দেড় মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয় জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট তৈরি, ও ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহের কাজ। সবশেষে ফিফার অনুমতি পাওয়ার মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয়।
তবে এখনই জাতীয় দলে খেলার সুযোগ মিলছে না। কিউবাকে মূল স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তার পারফরম্যান্স, ফিটনেস ও দলের কৌশলগত পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ফুটবলে নতুন রোমাঞ্চ যোগ করতে প্রস্তুত এই তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলারের আগমন নিঃসন্দেহে ভক্ত-সমর্থকদের জন্য এক বড় সুখবর।
তরুণ এই প্রতিভাবান ফুটবলারের আগমন বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন আশা ও উৎসাহ নিয়ে এসেছে। ফুটবলপ্রেমীরা আশা করছেন, তার অভিজ্ঞতা ও ইউরোপীয় ঘরানার খেলা বাংলাদেশ দলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।