মসজিদুল আকসার ভূমি ফিলিস্তিনে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, ফিলিস্তিনিদের জীবনের নিশ্চয়তা
এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে সৌদি আরবের দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসা করেছেন
পবিত্র মসজিদুল হারামের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান ও খতিব শায়খ ড. আব্দুর রহমান আল-সুদাইস।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে পবিত্র মসজিদুল হারামের প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স এ তথ্য জানায়।
ফিলিস্তিন জাতির ন্যায্য অধিকার অর্জন, তাদের সম্মানজনক জীবনযাপন নিশ্চিত করা
এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ও এর নাগরিকরা তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
ফিলিস্তিনিদের অধিকার পুনরুদ্ধারে সৌদি আরবের দৃঢ় অবস্থানের সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে।’
তাই ফিলিস্তিন ইস্যুতে সৌদি আরবের সমর্থন ও প্রচেষ্টা ধর্মীয় মনোভাব অনুকরণের বহিঃপ্রকাশ এবং মুসলিম জাতির কর্তব্য পালনের অংশ।
শেখ সুদাইস বলেন, পবিত্র মসজিদুল আকসা থেকে মুহাম্মদ (স.)-এর ইসরা হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেছেন, ‘পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত।
যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১)
তাছাড়া রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘(ইবাদতের উদ্দেশে) তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্যত্র ভ্রমণ করা অনুচিত।
পবিত্র মসজিদুল হারাম, আমার এই মসজিদ ও মসজিদুল আকসা।’ (মুসলিম: ৮২৭) অন্যত্র রাসুল (স.) ইরশাদ করেছেন,
‘পবিত্র মসজিদুল হারামে এক রাকাত নামাজ পড়া এক লাখ রাকাত নামাজের সমান,
আমার মসজিদে (মসজিদ-ই-নববি) এক রাকাত নামাজ পড়া এক হাজার রাকাত নামাজের সমান
এবং বায়তুল মাকদাসে এক রাকাত নামাজ পড়া ৫০০ রাকাত নামাজের সমান।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ৪/১১)
ইসরায়েলের বর্বর হামলার সমালোচনা করে শায়খ আল-সুদাইস বলেন,
‘পবিত্র মসজিদুল আকসার সুউচ্চ অবস্থান অম্লান থাকবে।
ফিলিস্তিনিদের অধিকার হরণে ইসরায়েলের বর্বর আচরণ পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।
কোনো ধর্ম বা রাষ্ট্রীয় নীতিমালা এর সমর্থন করে না।
তারা শত্রুতামূলক আচরণের মাধ্যমে পবিত্রতা ও মর্যাদা বিনষ্ট করছে এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার হরণ করছে।
আমরা মহান আল্লাহর কাছে পবিত্র মসজিদুল আকসা, ফিলিস্তিন জাতি ও মুসলিমদের পবিত্র স্থানগুলোর সুরক্ষার জন্য
বিনীতভাবে প্রার্থনা করি এবং সারা বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় দোয়া করি।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়।
এরপর দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
এতে ইসরায়েলে অন্তত ১ হাজার দুই শ জন এবং গাজায় ১ হাজার দুই শয়ের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
টানা ছয় দিনের রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়ে পড়ে গাজা অঞ্চল।
চলমান এই সংঘর্ষে ফিলিস্তিনিদের প্রতি নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে সৌদি আরব।