আজ মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যা আতঙ্কের সৃষ্টি করে। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের তৃতীয় তলার ছাদসংলগ্ন স্টোররুমে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের স্টাফদের তৎপরতায় ফায়ার এক্সটিং গুইশার ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা নিশ্চিত করে যে আগুন সম্পূর্ণভাবে নিভে গেছে এবং আর কোনো ঝুঁকি নেই।সুপ্রিম কোর্টে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত ছিল।
শফিকুল ইসলাম জানান, আগুনে স্টোররুমের থাকা কাগজসহ স্টেশনারি জিনিসপত্র এবং কিছু প্লাস্টিক পণ্য পুড়ে গেছে। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।তিনি আরও বলেন, স্টোররুম মামলা সংশ্লিষ্ট নথিপত্র বা দাপ্তরিক কোনো কাগজপত্র ছিল না। এখানে অফিসের জন্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র রাখা হয়।
গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু কাগজপত্র, স্টেশনারি এবং প্লাস্টিক সামগ্রী পুড়ে গেছে। তবে কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং কোনো হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি।
এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে বিদ্যুৎ সংযোগ ও অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে তদারকি ও পর্যবেক্ষণ আরও জোরদার করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।ঘটনার কিছু সময় পরেই আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়। সুপ্রিম কোর্টে অগ্নিকাণ্ড সত্ত্বেও বিচারকাজে কোনো বাধা পড়েনি। সাধারণ জনগণ ও আইনজীবীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমাতে প্রতিটি সরকারি দপ্তরে নিয়মিত নিরাপত্তা পরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।