নোটিশ পেয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদের বিবরণী জমা না দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ সাক্ষ্য দেন মামলার অভিযোগকারী দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।
এরপর বিচারক মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ৮ জুন এই মামলায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।
এর আগে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম
আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
চলতি বছরের ২৮ মার্চ ঢাকা আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন
ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর একটি ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত।
এরপরই তুমুল আলোচনায় আসেন বিএনপির এই নেতা। ওই বছরের ১৫ মে রাজধানীর খিলখেত এলাকা থেকে আসলামকে আটক করা হয়।
পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়।
মামলায় ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
পরে একে একে আরও অনেক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন।
তখন দুদকও তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার ঘোষণা দেয়।
এর ধারাবাহিকতায় সম্পদের হিসাব চেয়ে তাকে নোটিশ দেওয়া হয়
এবং তা না পেয়ে ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এর আগে মামলাটি নিয়ে আসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
সেই রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিনও দেন উচ্চ আদালত।
সেটি জানানো হলে জজ আদালতও এই মামলায় আসলামকে জামিন দেন।
তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারছেন না বিএনপির এই নেতা।