চীন সরকারের অর্থায়নে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৭৮৪ একর জমিতে চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্প এলাকা স্থাপন করা হবে।
জি টু জি ভিত্তিতে এই ইন্ডাস্ট্রি করা হবে। চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের (সিআরবিসি) কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কাজ ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভাশেষে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আমিন উল আহসান।
তিনি বলেন,
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় ৭৮৪ একর জমির ওপর চীন সরকারের অর্থায়নে জিটুজি ভিত্তিতে
চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠার জন্য বহিঃস্থ অবকাঠামো নির্মাণ এবং উপযোগ সেবার সংস্থান সম্পর্কিত কাজ চীন সরকার মনোনীত
ডেভেলপার চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে,
২০১৪ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরকালে চীনা সরকার চট্টগ্রামে একটি বিশেষ অঞ্চল ও শিল্পাঞ্চল স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করে।
ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এর দুই বছর পর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকা সফরে এলে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
এ সময় ঠিক হয় অর্থনৈতিক অঞ্চলটির অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করবে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।
কিন্তু দীর্ঘসময়েও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে চায়না হারবারের কোনো চূড়ান্ত চুক্তি না হওয়ায় অর্থনৈতিক অঞ্চলটির কোনো কাজ হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০২২ সালের ১১ আগস্ট চীনা অঞ্চলটি স্থাপনে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করে বেজা।
এই চুক্তির আগেই চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন স্থাপনে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় ৭৮৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন :