আমাদের সকলেরই ভর্তা খুবই প্রিয়। ভর্তা মানে দলাইমলাই। চিপে চিড়েচ্যাপ্টা করে ফেলা। ভর্তার সঙ্গে বাঙালি জাতির সুদূর ঐতিহ্যগত সম্পর্ক। ঠিক কবে থেকে বাঙালি জাতি ভর্তা খেতে শুরু করেছে তার কোনো নৃতাত্ত্বিক ইতিহাস রচিত হয়েছে কি না জানি না। তবে ধারণা করা যায়, হাজার বছর ধরেই বাঙালি ভর্তা খেয়ে আসছে। বিশেষ করে, শুঁটকি ভর্তা। মাছে-ভাতে বাঙালির শুঁটকির ভর্তা খাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। এত মাছ শুকিয়ে শুঁটকি করা ছাড়া উপায় কী? তার সঙ্গে কৃষিভিত্তিক সমাজে স্বাভাবিকভাবেই যুক্ত হয়েছিল আলু , বেগুন ভর্তা। শুনলে আশ্চর্য হবেন, এখন মাংস ভর্তাও খাওয়া হয়।
প্রতিদিনই আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকে নানা রকমের সবজি। আর এসব সবজির খোসাগুলো সাধারণত স্থান পায় ময়লার ঝুড়িতে। কিন্তু এবার পটলের খোসা ফেলে না দিয়ে ঝটপট বানিয়ে ফেলুন পটলের খোসার ভর্তা। এতে যেমন পাবেন পুষ্টি উপাদান তেমনি দুপুর কিংবা রাত যেকোনো সময়ের খাবারে পাবেন বাড়তি স্বাদ। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক পটলের খোসা দিয়ে ভর্তা তৈরির রেসিপি-
তৈরি করতে লাগবে
পটলের খোসা- ১ কাপ
চিংড়ি- ১/২ কাপ
পেঁয়াজ- ১/৪ কাপ
কাঁচা মরিচ- স্বাদমতো
ধনিয়া পাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ
লবণ- স্বাদমতো
সরিষার তেল- দেড় টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে সামান্য পরিমান পানি দিয়ে পটলের খোসা সেদ্ধ করে পানি শুকিয়ে নিন। এরপর প্যানে তেল গরম দিয়ে মরিচ, চিংড়ি, পটলের খোসা এবং পেঁয়াজ ভেজে নিন। ধনিয়া পাতাও প্যানে নিয়ে হালকা টেলে পানি টানিয়ে নিন। এরপর সেগুলো ঠান্ডা করে নিয়ে সব একসঙ্গে পাটায় বেটে বা হ্যান্ড ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। প্রয়োজন মতো লবণ দিন। পটলের খোসা ভর্তা তৈরি। এরপর গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।