৯৮ শতাংশই পানি থাকে অ্যালোভেরাতে যা ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকর। ত্বকের দাগ দূর করতে অ্যালোভেরা খুবই উপকারী।
অ্যালোভেরার উপকারিতা
গ্রীষ্মকালে অ্যালোভেরা ত্বকে খুব ভালো কাজ করে কারণ এর ৯৮ শতাংশই পানি। অ্যালোভেরা ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’, ‘অ্যান্টিসেপ্টিক’, ‘অ্যান্টি ইনফ্লামাটরি’, ‘অ্যান্টি অক্সিডাইজিং’, ‘অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল’ ও ‘অ্যাস্ট্রিজেন্ট’ সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা ব্যবহারে চোখের চারপাশের কালো দাগ, ব্রণের দাগ, বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর হয় এবং লোমকূপও সংকুচিত হয়। অ্যালোভেরা ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও খুব ভালো কাজ করে।
মধু ও অ্যালোভেরার জেল: তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ ও তেলতেলেভাব কমাতে অ্যালোভেরা জেল উপকারী। অ্যালোভেরা, ভিটামিন ই এবং মধু ভালো মতো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
রোদে পোড়াভাব কমানোর জেল: অ্যালোভেরার অ্যান্টি অক্সিডাইজিং ক্ষমতা রোদে পোড়াভাব কমাতে সহায়তা করে।
গোলাপ ও অ্যালোভেরার টোনার: ঘরে তৈরি অ্যালোভেরা ও গোলাপের টোনার ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সহায়তা করে। গোলাপ জলের সঙ্গে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে প্রতিদিন গোসলের পরে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
প্রদাহনাশক ফেস প্যাক: ত্বকে প্রদাহের সমস্যা যেমন একজিমা বা র্যাশের প্রবণতা থাকলে অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা উপকারী। অ্যালোভেরার ফেস ওয়াশ ত্বককে শীতল রাখতে ও লালচেভাব কমাতে সহায়তা করে।
লেবু ও অ্যালোভেরা: লেবু ও অ্যালোভেরা দুটোই শক্তিশালী ‘অ্যান্টি এইজিইং’ উপাদান সমৃদ্ধ। এগুলো ত্বককে আর্দ্র রাখতে ও দাগ ছোপ কমাতে সহায়তা করে। এক টেবিল-চামচ অ্যালোভেরা, একটা ডিমের সাদা অংশ এবং আধা টেবিল-চামচ তাজা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
অ্যালোভেরা ব্যবহারে সতর্কতা
ক্ষত বা আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে সংক্রমণ ও এমনকি প্রদাহ বাড়তে পারে। অ্যালোভেরা ব্যবহারের সবচেয়ে ভালো উপায় হল পাতার তাজা জেল ব্যবহার করা।
সপ্তাহে দুবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। ফেমিনা ডট ইন তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘দ্য হেল্থ রেঞ্জার’ হিসেবে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের মাইক অ্যাডামসের উদ্ধতি দিয়ে জানায়, বহু ভেষজ উপাদানের মধ্যে অ্যালোভেরার পুষ্টি গুণ ও রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা সবচেয়ে চমকপ্রদ।