বাড়িতে আমরা অনেকেই রাস্তার পাশের আলু চাট, ফুসকা, চটপটি, ফ্রুট চাট , ঝাল মুড়ি, কাটলেট ইত্যাদির মত স্বাদ আনতে চায়।
কিন্তু বাড়িতে তৈরি আর বাইরের তৈরি খাবারের স্বাদে-গন্ধে সম্পুর্ণ ভিন্নতা দেখা যায়। এর কারণ মসলার পার্থক্য।
আমরা বাড়ির রান্নায় সাধারণত স্পেশাল মসলা ব্যবহার করিনা।
এজন্য রান্না ভাল হলেও স্পেশাল টেস্ট টা কোনোভাবেই আসেনা।
আজকের এই মসলা রেসিপি ট্রাই করে ফুসকা, আলু চাট, ফ্রুট চাট, ঝালমুড়ি থেকে শুরু করে নানা স্বাদের রান্নায় স্পেশাল টেস্ট আনতে পারবেন।
উপকরণঃ
প্রস্তুত প্রণালী
কড়াই গরম করে তাতে শুকনো মরিচ দিয়ে ১৫ সেকেন্ড অনবরত নেড়ে একটু গরম করে নিতে হবে।
এরপর এরমধ্যে মেথি, লবঙ্গ, পাচফোড়ন, মৌরি, কালো জিরে,গোলমরিচ পর পর দিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রেও অনবরত নাড়িয়ে যেতে হবে।
এর ৫সেকেন্ড পর একে একে লবণ, বিটলবণ, আমচুর পাউডার,আদা পাউডার(আদা যদি পাউডার না হয়,
তবে প্রথমেই শুকনো মরিচের সাথে আদাটা ভেজে নিতে হবে) দিয়ে ১০ সেকেন্ড থেকে ১২ সেকেন্ড নাড়িয়ে চুলা অফ করে দিতে হবে।
অফ করে আরেকটু নাড়িয়ে দ্রুত ঠান্ডা পাত্রে ঢেলে নিতে হবে।
তখন শীল-পাটা বা ব্লেন্ডারে গুড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে স্পেশাল চাট মসলা।
সংরক্ষণ
এয়ার টাইট কাচের জারে ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখতে হবে বা ফ্রিজে রেখেও সংরক্ষণ করা যাবে। সেক্ষেত্রে বেশি সময় ভালো থাকে।
তবে ভাল রেজাল্ট পেতে সংরক্ষণ না করে যখন মসলা ব্যবহার করতে হবে তখনই বানিয়ে নেওয়া ভালো, এতে মসলার ঘ্রাণ টা পারফেক্ট থাকে।
সতর্কতা
মসলা ভাজার সম্পুর্ণ কাজটি করতে হবে চুলার আঁচ হালকা রেখে।
মসলা কড়াইতে দেওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নাড়া বন্ধ করা যাবেনা।
নাড়া বন্ধ করলে পুড়ে গিয়ে স্বাদ, গন্ধ দুই-ই নষ্ট হয়ে যাবে।
এখানে অল্প সময়ের মধ্যে একহাতে সব প্রসেস গুলো করতে হয়।
এজন্য এটা তৈরি করার আগে সব মসলা পরিমাপ করে কিছু নিয়ে হাতের কাছে সাজিয়ে রাখা ভালো।
তা না হলে মসলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
প্রথমবারেই অনেক মসলা তৈরি করতে না যাওয়ায় ভাল।
কারণ প্রথমেই খুব ভাল রেজাল্ট আসবে এরকম আশা করা যায়না।
অনেক করতে গিয়ে নষ্ট হলে মসলাও নষ্ট হবে,আর মন খারাপ লাগবে।
তাই প্রথম দিকে অল্প অল্প দিয়ে চেষ্টা করা ভাল।