ঢাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ ঘিরে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
বিএনপির দাবি তাদের নেতাকর্মীদের ঢাকায় ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে। তবে পুলিশের দাবি অযথা কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।
এদিকে পর্যাপ্ত গণপরিবহনের অভাবে সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেশ কয়েকটি স্থানে পুলিশকে তল্লাশি করতে দেখা গেছে।
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, মৌচাক ও শিমরাইল চেক পোস্টে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সড়কে গণপরিবহনের তেমন চাপ নেই।
স্বাভাবিকের চেয়ে মহাসড়ক বেশ ফাঁকা। তবে সড়কে যাত্রী অনুপাতে গণপরিবহনের সংখ্যা কম হওয়ায় সাধারণ যাত্রীদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সাধারণ যাত্রীরা জানান, ঢাকামুখী সড়কে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ তল্লাশি করছে। বাসস্ট্যান্ডে বেশিক্ষণ বাস থামতে দেওয়া হচ্ছে না।
এছাড়া অন্যান্য দিনের চেয়ে বাস কম থাকায় দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের পরিবহণ পাওয়া যাচ্ছে না।
মূলত সমাবেশের জন্য বাস ভাড়া করে ফেলার কারণে সড়কে পরিবহনের সংকট দেখা দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম ফারুক খোকন জানান, আজ সকাল থেকেই মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
গতকাল দিনব্যাপি তারা নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে তল্লাশি অভিযানের নামে আটক ও হয়রানি করেছে।
আজকে তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢাকা প্রবেশে বাঁধা দিতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে।
এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আমীর খসরু সাংবাদিকদের জানান,
দেশের সর্ববৃহৎ দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে ঘিরে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।
মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। কোনো ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য কেউ বহন করছে কিনা সেটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
আরও পড়ুন