গ্রিসে বন্যায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেন্ট্রাল গ্রিসে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শত শত গ্রামবাসী।
হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ছাদ থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করা হচ্ছে।
পাশাপাশি সেনা সদস্যরা রাবার বোটে করে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, সেনা সদস্যরা সেন্ট্রাল গ্রিসের একাধিক গ্রামে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
তিন মিটার গভীর পানিতে ডুবে আছে একাধিক গ্রাম। উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে রাবার বোট।
কর্মকর্তারা শনিবার জানিয়েছেন, বিধ্বংসী বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এথেন্স থেকে প্রায় ৩৩০ কিলোমিটার (২০৫ মাইল) উত্তরে থেসালি এলাকায় ১০টি মৃতদেহ মেলে।
গ্রিক নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী ভ্যাসিলিস কিকিলিয়াসের মতে, চারজন ব্যক্তির দুর্যোগের ফলে নিখোঁজ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, এক হাজার ৭০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৬ জনকে তাদের বাড়ি থেকে এয়ারলিফ্ট করে অর্থাৎ আকাশপথে উদ্ধার করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টেলিভিশন স্টেশনগুলোতে মানুষ ফোন করে জানিয়েছেন, শত শত জন এখনও একাধিক এলাকায় আটকা পড়ে রয়েছেন।
বন্যার ফলে ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, সেতু ভেঙে পড়ে রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। থেসালির উর্বর এলাকায় বিপুল পরিমাণে ফসল নষ্ট হয়েছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস শুক্রবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তার সরকার বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলোকে
সহায়তা করার জন্য মানবিকভাবে যা যা কিছু করা সম্ভব, সেটাই করবে। তিনি বন্যাবিধ্বস্ত কার্দিৎসা অঞ্চল সফর করেছেন।
তিনি বলেছেন, প্রথম কাজ হলো বিপদের মধ্যে থাকা সব মানুষকে উদ্ধার করা,
বিশেষ করে যারা কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া গ্রামে বসবাস করছেন।