নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্ত্রীকে বাজারে পাঠিয়ে প্রতিবেশী শিশুকে (১৩) ধর্ষণ করেছেন দুই সন্তানের জনক।
ঘটনার দুদিন পর মঙ্গলবার সকালে এলাকার সালিশ বৈঠক থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের রশীদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষক মোহাম্মদ সুমন (৩৬) সোনাইমুড়ি উপজেলার বজরা ইউনিয়নের রশীদপুর গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে।
বাদী জানান,
ঘটনার দিন ভুক্তভোগীর পরিবার শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী অদৃশ্য কারণে
মামলা না নিয়ে তাদের ফেরত পাঠায়। পরের দিন সংবাদকর্মীরা বিষয়টি নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলামকে অবহিত করলে তার নির্দেশে পুলিশ মামলা নেয়।
নির্যাতিতা শিশুর মা অভিযোগ করে বলেন,
রোববার সকাল ৯টার দিকে আমার অসুস্থ মা ও মেয়েকে ঘরে রেখে আমি একটি বঁটি কিনতে বাজারে যাই।
বাজারে যাওয়ার পথে ধর্ষক সুমনের সঙ্গে আমার দেখা হয়। কোথায় যাচ্ছি জানতে চেয়ে তখন সে জোর করে আমাকে গাড়ি ভাড়া দেয়।
এরপর তার ঘরে গিয়ে তার স্ত্রীকে জোর করে বাজারে মাছ কিনতে পাঠায়।
এরপর আমার ঘরে ঢুকে মেয়েকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী দাবি করেন এমন অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা।
সালিশ বৈঠক থেকে ধর্ষক গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন,
আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এ ঘটনায় সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে।
তবে সালিশ বৈঠক থেকে ধর্ষককে গ্রেফতারের বিষয়টি নাকচ করেন ওসি।