আবারো রূপগঞ্জের চনপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে দুজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ৪২টি রামদা উদ্ধার করে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রূপগঞ্জ থেকে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসেন।
নির্বাচন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মাসুদের শরীরে গুলি ও মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তার অবস্থা গুরুতর। আর বাবলুর ডান পায়ের পাতায় গুলি লেগেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চনপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনা।
শুক্রবার দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রায়হান গ্রুপ ও জয়নাল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় উভয়পক্ষ ইটপাটকেল ও গুলি ছোড়ে।
এতে জয়নাল গ্রুপের বাবলু ও মাসুদ নামে দুজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছেন।
আহত বাবলু বলেন, আমাদের বাড়ি চনপাড়া ৬ নম্বর ইউনিয়নে। বেশ কিছুদিন আগে কায়েতপাড়া ইউনিয়নে নির্বাচন হয়।
সে নির্বাচনে আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নালের পক্ষে কাজ করি। আজ চনপাড়ায় মাঠের এক পাশে মাসুদ, সাকিব ও সবুজসহ বেশ কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিলাম।
এ সময় বর্তমান মেম্বারের সমর্থক মো. রায়হান, মো. সাব্বির হোসেন, শান্ত, মামুন, কালো ইমনসহ কয়েকজন পেছন থেকে মাসুদের মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
এগিয়ে গেলে তার গুলি করে।
চনপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মামুনুর রশীদ বলেন,
শুক্রবার দুপুরে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৪নং ওয়ার্ডের নবকিশালয় স্কুলের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে মাসুদ ও বাবলু নামে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার পর চনপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৪২টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।
এনামুল হক
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।