ঢাকার মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটটি আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। আর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় কলাপসিবলের প্রতিটি গেটে তালা লাগানো ছিল।
যার কারণে তালা ভেঙে ঢুকতে সময় লেগেছে। এছাড়াও মার্কেটের বাইরে ছোট ছোট অসংখ্য দোকানে ঠাসা ছিল।
৪ ভাগের ৩ ভাগ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সার্ভিসের সদর দফতরের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ৯টা ২৫ মিনিটে কৃষি মার্কেটের ভয়াবহ আগুন প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
১৭টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আর আমাদের ১৫০জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী কাজ করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, মার্কেটে অগ্নি নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
মার্কেটের কলাপসিবল গেইট আটকানো ছিল। তালা ভেঙে ভেতর যেতে হয়েছে।
অনেক সচেতনতামূলক ওয়ার্কশপ করা হয়েছিল। মার্কেটে ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট ছিল না।
পানিরও সোর্স ছিল না। উৎসুক জনতার কারণেও আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত কিভাবে তা তদন্তের মাধ্যমে জানানো যাবে।
মার্কেটটি আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল এবং কয়েকবার নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
২ থেকে ৩গুণ বিদ্যুৎ বেশি মার্কেটে ব্যবহৃত হতো। পরিপূর্ণ নির্বাপণে আরও ৪/৫ ঘণ্টা সময় লাগবে।
ভোরে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান,
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৪৩ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, ‘রাত ৩টা ৪৩ মিনিটের দিকে তারা আগুন লাগার খবর পান।
তাৎক্ষণিক তাদের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
পরে যোগ দেয় আরও দুটি ইউনিট। আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পরে আরও তিনটি ইউনিট যোগ দেয়।
এরপর আরও ৪টি ইউনিট যোগ দেয়। সবশেষ ১৭টি ইউনিট কাজ করে।
স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা জানান, এরইমধ্যে আগুনে পুড়ে গেছে শত শত দোকান।
তাদের অভিযোগ ফায়ার সার্ভিস দেরি করে আসাতে আগুনের ভয়াবহতা বেড়েছে।
পুড়ে যাওয়া দোকান থেকে শেষ সহায় সম্বলটুকু খুঁজে ফিরছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি দোকোনের অবস্থা খুবই করুন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জানান, এই দোকানের পর তাদের সংসার চলত এখন কি করব। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিছুই বের করতে পারিনি।
স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা তাদের।
মার্কেটের টিনশেড অংশের দোকান বেশিরভাগ পুড়ে গেছে। এখনো টিনশেডের অনেকাংশেই আগুনের ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন সাংবাদিকদের জানান,
রাত পৌনে ৪ টায় আগুনের সংবাদ পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়।
প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাত ৩ টা ৫২ মিনিটে।
প্রথমে ৭ টি ইউনিট কাজ করলেও আগুনের তীব্রতা বাড়ায় ইউনিট বাড়িয়ে দেয়া হয়।
তবে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহত খবর পাওয়া যায়নি নাই।