ফেনীতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ছয় উপজেলায় ২৮ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
যা জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে সোমবার (১৭ জুলাই) রেকর্ড ১৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
তিনি বলেন, রোববারের (৩০ জুলাই) মধ্যে হাসপাতালের নতুন ভবনে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট পৃথক ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করতে কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে কথা হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসার বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন,
এতদিন মেডিসিন ওয়ার্ডের রোগীদের সাথে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল।
তবে ইতোমধ্যে হাসপাতালের নতুন ভবনে পৃথক ডেঙ্গু ওয়ার্ডের জন্য একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগীদের সেবায় তারা সার্বক্ষণিক কাজ করবেন। ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে ডেঙ্গু টেস্ট করার পরামর্শ দেন তিনি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ হতে প্রাপ্ত তথ্যমতে,
চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১৭৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
তন্মধ্যে চলতি মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ১১১ জন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে,
মেডিসিন বিভাগের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের পশ্চিম দিকে দেওয়ালে স্টিকার সাঁটিয়ে একটি ডেঙ্গু কর্ণার স্থাপন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেখানে মশারী টানিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে আক্রান্তদের।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর স্বজনরা বলছেন,
মেডিসিন ওয়ার্ডে এমনিতেই রোগীর চাপ অনেক বেশি। কিন্তু রোগীর জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড স্থাপন করা জরুরি।
এতে করে অন্য রোগীদের ডেঙ্গু আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র আরও জানায়,
আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ জন ইতোমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে ফেনী জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৬ জন চিকিৎসাধীন।
আক্রান্তদের প্রায় সবাই ঢাকা-চট্টগ্রাম বা জেলার বাইরে থেকে সংক্রমিত হয়ে এসেছে। তবে এখন পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফেনী পৌরসভার প্রস্তুতি নিয়ে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী জানান,
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পৌর এলাকায় মাইকিং এবং ঔষধ ছিটানো হচ্ছে।