বান্দরবানে প্রবল বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে ৬ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পাহাড় ধসে আহতদের মধ্যে রুমি আক্তার (২৮) বান্দরবান পৌরসভার কালাঘাটা বীরবাহাদুর নগর এলাকার বাসিন্দা।
অপর চারজন হলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের করিমার ঝিরি এলাকার একই পরিবারের বাসিন্দা।
একজন বান্দরবান সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার নাম জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,
আজ দুপুর ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের করিমার ঝিরি এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের মাটির ঘরে পাহাড়ের কিছু অংশ ধসে পড়ে।
এসময় ঘরে থাকা জসিম উদ্দিনের স্ত্রী রোকসানা (২৪) তার মেয়ে আনিকা ( ৮) জেসমিন (৬) শাহাজালাল (দেড় বছর) আহত হন।
রোকসানা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডাক্তার এস এম ইকবাল জানান,
দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বান্দরবান পৌরসভার কালাঘাটা বীরবাহাদুর নগর এলাকায় পাহাড় ধসে আহত রুমি আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, বান্দরবান আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গত ৪ দিনে জেলায় প্রায় ৪৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ৫-৬ দিন এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এসময় পাহাড় ধসেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান,
এই পর্যন্ত জেলায় পাহাড় ধসে নাইক্ষ্যংছড়িতে ৪ জন ও বান্দরবান সদর উপজেলায় ২ জন আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।
ইতোমধ্যে জেলায় ১৯২ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আজ সকাল পর্যন্ত ৯টি পরিবারের ৩৫ আশ্রয় নিয়েছেন। এই সংখ্যা সামনে আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন :