একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ তার নিজ জেলা পিরোজপুরে দাফন করা হবে।
সাঈদী ফাউন্ডেশনের মসজিদের পাশে তাকে কবর দেওয়া হবে।
এদিকে সাঈদীর লাশ দাফনকে কেন্দ্র করে যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পিরোজপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এলাকায় পুলিশ কঠোর অবস্থান নেয়।
এ সময় কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডের ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় পুরো হাসপাতাল এলাকা।
এক পর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
তারা হাসপাতাল ও শাহবাগ এলাকা ত্যাগ করে বিভিন্ন দিকে চলে যায়।
পরে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স পুলিশের কড়া পাহারার মধ্যে শাহবাগ এলাকা ছাড়ে।
তার মরদেহ পিরোজপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় জামায়াতের দলীয় সূত্রে জানা যায়,
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালেই সাঈদী ফাউন্ডেশনের মসজিদের পাশে তার কবর খোঁড়া হয়।
সাঈদীর মৃত্যুর খবরে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকেই পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ।
উপজেলার চন্ডিপুর, বালিপাড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন জানান,
দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে
তার জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে
(বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু হয়।
বিএসএমএমইউ’র পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমান বলেন,
‘উনার দুই বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’
দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ বন্দী ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
সেখানে থাকা অবস্থায় ১৩ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে তাকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।