নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দুটি পাজেরো গাড়ি চালিয়ে ঢোকেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম।
একটি গাড়ি বালিয়াড়ির জিওব্যাগে আটকে গেলে ঘটে লঙ্কাকাণ্ড। হুমকি-ধামকিও দেন সাগরপাড়ের বিচ কর্মীদের।
সৈকতের বালিয়াড়িতে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু তা অমান্য করে বুধবার সকাল ৬টায় গাড়ি নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে আসেন ইরফান সেলিম।
সেখান থেকে বালিয়াড়িতে গাড়ি চালিয়ে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে এলে একটি পাজেরো আটকে যায়।
যার দুটি চাকা বালিয়াড়িতে আটকা আর দুটি চাকা জিওব্যাগের ওপর। তার পাশে দাঁড়ায় আরও একটি গাড়ি।
কক্সবাজার সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার লাইফগার্ড কর্মী মো. রশিদ আহমদ বলেন, ‘সকালে আমি এসেই দেখি পাজেরো গাড়িটি সৈকতে চালাচ্ছে।
তখন লাবণী পয়েন্টে এসে গাড়িটি বালুর বস্তার সঙ্গে আটকে যায়। এসময় গাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
এরপর গাড়ি উদ্ধারে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পাঠানো হয় আরও দুটি জিপ। যা দিয়ে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চালিয়ে উদ্ধার করা হয় গাড়িটি।
এসময় পুনরায় লাবণী পয়েন্টে আসেন ইরফান সেলিম। আর তর্কে জড়িয়ে পড়েন সাগর পাড়ের বিচ কর্মীদের সঙ্গে। দেন হুমকি-ধামকিও।
সাইফুল করিম নামে এক বিচকর্মী বলেন, ‘আমি গাড়ি আটকে যাওয়া দেখে ঘটনাস্থলে যাই।
আমি সেখানে গিয়ে কথা বলতে গেলে গাড়ি থেকে ইরফান সেলিম নেমে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
মাস্তানের মতো আচরণ করেন। ওনার দেহরক্ষীদের ডেকে বলে, ‘এই ওরে ধর, এরেস্ট কর। তিনি এ সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।’
এসময় ঘটনাস্থলের ফুটেজ ধারণ করতে গেলে সময় সংবাদের সাংবাদিকদের বাধা দেয় তার দুজন দেহরক্ষী।
বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এর আগেও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আলোচনায় এসেছিলেন ইরফান সেলিম।
২০২০ সালের অক্টোবরে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। ওই মামলায় কারাগারে গিয়েছিলেন ইরফান সেলিম।
ওইসময় রাজধানীর দেবীদাস ঘাট লেনের বাসায় অভিযান চালিয়েছিল র্যাব।
অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ও বিদেশি মদ রাখার দায়ে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুলকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডিত হওয়ায় তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল। যদিও পরে অস্ত্র ও মাদক মামলা থেকে অব্যাহতি পান ইরফান।