তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে স্থবির বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। পানিতে তলিয়ে গেছে নগরীর বেশিরভাগ নিচু এলাকা।
বাসা-বাড়িতে পানি ওঠায় সীমাহীন দুর্ভোগে মানুষ। এই কষ্টের জন্য সিটি করপোরেশন ও সিডিএকে দুষছেন নগরবাসী।
গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো পানির নিচে ডুবে ছিল নগরের অধিকাংশ এলাকা।
নিচু অঞ্চলগুলোতে বিকেল পর্যন্ত হাঁটু ও কোমরপানি ছিল।
বৃষ্টির তীব্রতা মাঝেমধ্যে কমায় কিছু এলাকার পানি নেমে গেলেও কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে রাস্তাঘাট ও বাড়ির আনাচকানাচ।
সব মিলিয়ে গতকালও অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে।
এ পরিস্থিতি আরও দু’দিন চলতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কোমর পানিতে ডুবে যায় সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনও।
যার ফলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন নগরপিতা। এছাড়া পানি ঠুকে পড়ে বাসাবাড়ি, দোকানপাট ও মসজিদেও।
সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচলও। অনেক বাসাবাড়িতে জ্বলছে না চুলা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পানিতে থইথই করছিল পাশাপাশি অবস্থিত এই দুটি এলাকা।
বহদ্দারহাট-বাদুরতলা-চকবাজার সড়কের কাপাসগোলা এলাকাটি এক প্রকার ডোবায় পরিণত হয়।
সড়কটির কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমরপানি জমে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের বাকলিয়া,
চকবাজার, কাতালগঞ্জ, শুলকবহর, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান,
নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যেসব এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে বা হবে, সেসব এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা আছে।
এদিকে শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী জানান,
মানুষ শুধু শুধু জলাবদ্ধতা নিয়ে সিটি করপোরেশনকে গালিগালাজ করছে। অথচ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে, সেটা করছে সিডিএ (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোনো হাত নেই।
আরও পড়ুন :