যারা কোরবানির সামর্থ্য রাখেনা এবং কারো কাছে হাতও পাততে পারে না ঈদুল আযহা উপলক্ষে উপহার হিসেবে এমন অস্বচ্ছল আটশত পরিবারে গরুর মাংস পৌঁছে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ খেলাফত মজলিস।
৩০ জুন শুক্রবার সকাল থেকেই প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকায় কেনা গরু দিয়ে আটশত পরিবারে
বিশেষ কোরবানি ও গোশত বিতরণ কর্মসূচী পালন করেছে খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলা শাখা।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইরে জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েলের নিজ বাড়ীতে
মহানগর ও ফতুল্লা থানা শাখা এবং বন্দরের লক্ষণখোলায় পৃথকভাবে মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফেজ কবির হোসাইনের নেতৃত্বে তাঁর নিজ বাড়ীতে এ কোরবানির আয়োজন করে খেলাফত মজলিস।
সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন ও মহানগর সভাপতি ডাঃ শরীফ মোহাম্মদ মোসাদ্দেকের তত্ত্বাবধানে
এবং মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ এর নেতৃত্বে এ কার্যক্রমে বিশেষ দায়িত্বে ছিলেন সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান,
মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সদর থানা সভাপতি হাফেজ কবির হোসাইন, জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েল,
মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সদর থানার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাফেজ মুহাম্মাদ আওলাদ, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ।
গোশত বিতরণকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী,
মহানগর সহ-সভাপতি ও শ্রমিক মজলিসের মহানগর সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, খেলাফত মজলিসের মহানগর সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলম,
ডাঃ শামীম ভূঁইয়া, জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল গনী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান,
মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ শরীফ মিয়া, ফতুল্লা থানার সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান মুনঈম,
মহানগর শ্রম সম্পাদক আব্বাস সিকদার, মহানগর প্রচার সম্পাদক ও ইসলামী যুব মজলিসের মহানগর আহবায়ক প্রভাষক মাইদুল ইসলাম,
ইসলামী ছাত্র মজলিসের মহানগর বায়তুলমাল সম্পাদক সাঈদ হাসান নুর প্রমুখ।
এসময় খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধগতির কারণে মানুষ আজ দিশেহারা হয়ে আছে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য খেলাফত প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হলেই কেবল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং তারা প্রকৃত ঈদের আনন্দ অনুভব করতে পারবে।