ঈদের আগে থেকেই সারাদেশে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। গতকালও দুপুরে রাজধানীতে ঝুম বৃষ্টি নামে।
আজ সকাল থেকে বৃষ্টি কিছুটা কম হলেও দুপুরের পর আকাশ অন্ধকার করে নামে মুষলধারে বৃষ্টি; যা প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী ছিল।
টানা বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে রাজধানী প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিও।
শনিবার (১ জুলাই) বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত রাজধানীর ফার্মগেট, কাওরানবাজার, মগবাজার,
বাংলামটর, তেজতুরী বাজার, পূর্ব নাখালপাড়া, তেজগাঁও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,
বৃষ্টির পানিতে ওইসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্থানীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকাস্থ বসুন্ধরা সিটির পিছনের একটি গলিতে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় হাঁটু পানি।
রাস্তার পাশে অনেক দোকান ও বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। তবে ওইসব এলাকায় বাসিন্দাদের ৩০টাকা করে পানি পার করছেন রিকশাচালকরা।
স্থানীয়রা জানান,
বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এসময় সুবিধাভোগী কিছু রিকশাচালক সেখানে অবস্থান করে এবং পানি পারাপারের জন্য জনপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা নেয়।
একই অবস্থা রাজধানীর গ্রিন রোড এলাকাতেও। সেখানে সরেজমিনে দেখা গেছে, পান্থপথ মোড় থেকে ফার্মগেট আসার রাস্তা পুরোই পানিতে ডুবে গেছে।
এছাড়া এইচআর হোম ও এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির সামনে পানি তই তই করছে। সেখানে কোমর পরিমাণ পানি।
তাই সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে রিকশায় চড়ে লোকজনকে পানি পাড়ি দিতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারের পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,
ওই এলাকায় জামে মসজিদের সামনে কোমর পানি হয়ে গেছে। এছাড়াও আশেপাশের গলিগুলোও পানিতে ডুবে গেছে। বেশিরভাগ বাসা-বাড়ির নিচতলায়ও পানি প্রবেশ করেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কুইক রেসপন্স টিম প্রধান সড়কগুলো থেকে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।
তিনি বলেন, যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে কুইক রেসপন্স টিম পাঠিয়ে সেসব এলাকায় ড্রেন পরিষ্কার করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এছাড়াও ডিএনসিসির হটলাইন ১৬১০৬ এই নম্বরে ফোন করেও জানানো যাবে বলে জানান ডিএনসিসির এই কর্মকর্তা।
এদিকে, তেজগাঁও, রামপুরা, মালিবাগ, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়ও বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।