গত দুই ধরে অব্যাহত ভারি বর্ষণের কারণে বান্দরবানে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে বান্দরবান থানচি সড়কের জীবন নগর নামক স্থানে পাহাড় ধসে থানচি উপজেলার সঙ্গে বান্দরবানের সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে থানচি ফায়ার সার্ভিসের একটি দল পাথরটি সরাতে কাজ করলেও এত বড়পাথর সরানোর মত যন্ত্রপাতি না থাকায় পরে পাথরটি সরাতে সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবি কাজ শুরু করে এবং দুপুর ১২টায় সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
অনবরত বৃষ্টির কারণে জেলার বিভিন্নস্থানে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কা। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার সাঙ্গু ও মাতামহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারিবর্ষণ অব্যাহত থাকলে তলিয়ে যেতে পারে জেলা সদরের নিম্মাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি এলাকা।
যদিও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে পৌরসভায় বসবাসরত পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।
এদিকে, কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
এছাড়াও টাইগারপাস এলাকায় পাহাড় ধসে একটি মাইক্রোবাস চাপা পড়ে। তবে এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন :