চাঁপাইনবাবগঞ্জেরর গোমস্তাপুরে রাধানগর ইউনিয়ন আওয়ামী ছাত্রলীগের সভাপতি মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে
গোমস্তাপুর উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ও নাঈম কে মোবাইলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাঈম জানান, আমি মুক্তারের সুপারিশক্রমে রাধানগর-টমপাড়ার আইডিয়াল এনজিও তে গত ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে,
মুক্তারের আপন ছোট ভাই মাঠকর্মী ফিরোজের মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলাম।
আরও জানান, মুক্তার হোসেন ওই এনজিওর ম্যানেজার ছিলো। আমি সেই জমাকৃত টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হয়রানি করে ও হুমকি ধামকি দেয়।
এক পর্যায়ে গোমস্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার জামান আনসারী ও সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম জয়কে বিষয় টা জানালে,
সে সময় টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ১৫ মাস হয়ে গেলেও বিভিন্ন টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে মুক্তার।
এরই পেক্ষিতে তমাল নামে আমার এক বন্ধু গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুলাই) টাকাটা দিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করে।
আর এ কারনেই সে ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা ৩৭ মিনিট একটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে জীবন নাসের হুমকি দেয়।
এবিষয়ে আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার জামান আনসারী ও সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম জয়কে আবারও বিষয়টা জানায়।
আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি, ঢাকা থেকে ফিরে আইনী আশ্রয় নেওয়ার কথাও বলেন।
মুক্তার হোসেনের ছাত্রত্ত্ব নেই বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নাঈম।
গোমস্তাপুর উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি শাহরিয়ার জামান আনসারি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
মুক্তার হোসেনের হুমকি দেয়ার অডিও ক্লিপটি পেয়েছি। এবিষয়ে নাঈম আমাকে ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক জয়কে অভিযোগ দিয়েছে, আমরা বসে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নিবো।
অপরদিকে, অভিযুক্ত মুক্তার হোসেন হুমকি দেয়ার কথা অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, এসকল ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন।
রবি নম্বরটি আমার নয়, তাছাড়া আইডিয়াল এনজিও-র সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই।
ওই এনজিওতে আমার মাধ্যমে কিংবা সুপারিসে কোনো টাকা লেনদেন হয়নি বলেও জানান মুক্তার হোসেন।
আরও পড়ুন :